সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর লেবুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে লেবুর ভরা মৌসমে ভালো ফলন হবার পরেও ন্যায্যমূল্য মিলছে না বলে অভিযোগ করেন চাষিরা। এ কারণে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা রানীগঞ্জ ইউনিয়নের আছিমপুর এলাকায় লেবু বাগানগুলোতে সরেজমিনে দেখা যায়, উঁচু-নিচু পাহাড়ি টিলার গায়ে গায়ে সারিবদ্ধ কাগজি লেবুর বাগান। আর এ বাগানজুড়ে থোকা থোকা গাঢ় সবুজ কাগজি লেবু ঝুলে আছে। এ বছর প্রায় সব বাগানেই লেবুর ভালো ফলন হয়েছে। এতে চাষিদের মন আনন্দে ভরে উঠছে। চাষিরা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাগান থেকে লেবু সংগ্রহ ও বাজারজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন।
লেবু চাষি মুসলিম উদ্দিন জানান, উৎপাদনের শুরুতে ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু বাজারে দাম নেই। লাভতো দুরের কথা আসলও নেই। এ অবস্থায় চলতে থাকলে লেবু চাষাবাদ ছেড়ে দেওয়া লাগবে। তিনি বলেন, জগন্নাথপুর কাগজি লেবুর চাহিদাও ছিল। এতে জগন্নাথপুর বাজার জুড়ে লেবুর সরবরাহও ছিল প্রচুর। তবে লেবুর উৎপাদন ও ভরা মৌসুম থাকায় সরবরাহ প্রচুর। এতে স্থানীয় বাজারে দেশীয় কাগজি লেবুর দাম অনেকটা পড়ে গেছে। যার দরুণ এ অঞ্চলের চাষিরা তাদের উৎপাদিত লেবুর ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। ফলে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, সার-কীটনাশকসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বেশি হওয়ায় আমাদের উৎপাদন খরচও বাড়তি। মৌসুমের প্রথম দিকে ভালো দাম পাচ্ছিলাম। তবে ভরা মৌসুমে দেশের অন্যান্য এলাকার লেবু বাজারে প্রবেশ করায় বাজারে দাম কমে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে লেবু চাষাবাদ ছেড়ে দেয়ার কথাও জানান অনেক চাষির।
জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অফিসের উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা তপন চন্দ্র শীল জানান, এ উপজেলার রানীগঞ্জ আছিমপুর এলাকা প্রায় এক হাজার লেবুর গাছ রয়েছে। চাষিরা লেবুর বাগান করে লাভবান হয়েছেন। তবে এখন বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি থাকায় চাষীরা লেবুর ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না।