জগন্নাথপুরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ত্রিমুখি লড়াইয়ের আভাস

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল বুধবার (২ নভেম্বর)। গতকাল সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাত ১২টায় এ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে।

নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দ্বীপ সুত্রধর বীরেন্দ্র (তালা প্রতীক), যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা আব্দুল মতিন লাকি (টিয়া পাখি প্রতীক), উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন লালন (মাইক প্রতীক), সহ-সভাপতি সালেহ আহমদ ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী সৈয়দ তুহেল আহমদ (টিউবওয়েল)।

স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শেষ মুহূর্তে উপজেলায় প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছিল। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পাশাপাশি বিরামহীন প্রচারে অংশ নেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরাও।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে জয়দ্বীপ সুত্রধর বীরেন্দ্র ভোটের মাঠে অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। পরিক্ষিত একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে উপজেলাজুড়ে তাঁর পরিচিতি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুস সামাদ ডনের অনুসারী বীরেন্দ্র’র সঙ্গে ভোটের মাঠে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেছে আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ।

অন্যদিকে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন লালন ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী সৈয়দ তুহেল আহমদও লড়াইয়ে পিছিয়ে নেই। বীরেন্দ্র, লালন ও তুহেলের ত্রিমুখি লড়াই জমে উঠতে পারে বলে অনেক ভোটার মনে করছেন।

যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা আব্দুল মতিন লাকির পক্ষে প্রচারে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তবে বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা যদি আগামীকাল ভোটকেন্দ্রমুখী হন, তবে চমক সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে লাকির।

এদিকে উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সালেহ আহমদ আঞ্চলিকতার সুর তোলে প্রচার চালিয়েছেন। রানীগঞ্জ, চিলাউড়া ও পাইলগাঁও এই তিন ইউনিয়নে একক প্রার্থী সালেহ আহমদ। আঞ্চলিকতা কাজে লাগাতে পারলে সুবিধাজনক স্থান তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এ প্রার্থীর।

জগন্নাথপুর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মুজিবুর রহমান বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্নের লক্ষ্যে আমরা সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। ২ নভেম্বর ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮৯ হাজার ৩৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৫ হাজার ৩২৩ জন আর নারী ভোটার ৯৩ হাজার ৭১৬ জন।