জগন্নাথপুরে বন্যা : সড়ক তলিয়ে পানিবন্দি অর্ধশতাধিক গ্রাম

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে এ উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

গত কয়েক দিনের বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুশিয়ারা ও নলজুর নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এতে উপজেলার জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়ক, লাউতলা-রসুলগঞ্জ সড়ক সহ বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে গেছে।

উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের আলাগদি, জালালপুর, খানপুর, আলীপুর, রানীগঞ্জ ইউনিয়নের রানীগঞ্জ বাজার, রানীনগর, নোয়াগাঁও, আলমপুর, রৌয়াইল, চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের ভুরাখালী, দাসনোয়াগাঁও, গাদিয়ালা, বেরী, জগন্নাথপুর পৌরসভার যাত্রাপাশা, শেরপুর, পশ্চিম ভবানীপুর, কলকলিয়া ইউনিয়নের শ্রীধরপাশা, জগদ্বীশপুর, কামারখাল, গলাখাই সহ অর্ধশতাধিক গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

রানীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী দোলন মিয়া বলেন, ‘কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারের একাংশ তলিয়ে গেছে। এতে ক্রেতারা দোকানে আসতে পারছেন না। ঈদের বাজারে আমাদের অনেক লোকসান হচ্ছে।’

চিলাউড়া-হলিদপুর ইউনিয়নের কবিরপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহেদ মিয়া বলেন, ‘আমাদের এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। বেশ কয়েকটি বাড়িতে পানি উঠে গেছে। অনেকেই আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।’

পাইলগাওঁ ইউনিয়নে জালালপুর গ্রামের ফরিদ আহমেদ বলেন জালালপুর গ্রামের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বেগমপুর সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।

রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ইছগাঁও গ্রামের রিপন মিয়া বলেন, ‘জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গত তিন দিন ধরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছি আমরা।’

জগন্নাথপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-বশিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা সহ জরুরি যোগাযোগে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। তবে হাওরগুলোতে পানি প্রবেশ করায় নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে।’