শরতের কাশ ফুলের মৃদু বাতাসে বছর ঘুরে আবারো দেবী পূজার মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে চারিদিক। দুয়ারে কড়া নাড়ছে শারদীয় দুর্গা পূজা। মর্ত্য লোকে দেবী দশভূজা মায়ের আগমনী বার্তায় আনন্দ সনাতন ধর্মালম্বীদের মাঝে।
রাত পোহালেই শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় আয়োজন শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। দুষ্টের বিনাশ ও সৃষ্টের পালন করতে বছর ঘুরে আবারো দুর্গতিনাশিনী দশভূজা ‘দুর্গা’ আসছেন। আর দুর্গার এই আগমনকে ঘিরে মন্দিরে মন্দিরে চলছে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা।
বাঁশের কাঠামোর ওপর বিচালি দিয়ে তৈরি করা অবয়বকে মাটি দিয়ে পূর্ণতা দেয়া হয়েছে। মৃৎশিল্পীদের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় ধীরে ধীরে পূর্ণাঙ্গ রূপ নিয়েছে দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, সিংহ সহ মহিষাসুরবধের কাহিনী। শুক্রবার ষষ্ঠী তিথিতে বিল্ব বৃক্ষ বা বেল গাছের পূজার মাধ্যমে আবাহন করা হবে দেবী দুর্গাকে। সেই বৃক্ষের শাখা প্রতিষ্ঠা করা হবে দেবীর ঘটে। ঢাকঢোল আর কাঁসার বাদ্যে দেবীর বোধন পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এবছর ৪২টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি ব্যক্তিগত ও ৩৭টি সার্বজনীন পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন হয়েছে এবার। এসবের মধ্যে জগন্নাথপুর পৌরসভায় ৬টি, কলকলিয়া ইউনিয়নে ৬টি, পাটলি ইউনিয়নে ২টি, মীরপুর ইউনিয়নে ৬টি, চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নে ৩টি, রানীগঞ্জ ইউনিয়নে ৭টি, সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নে ১টি, আশারকান্দি ইউনিয়নে ৫টি, পাইলগাঁও ইউনিয়নে ৬টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে।
জগন্নাথপুর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সতিশ গোস্বামী জানান, এবছর জগন্নাথপুরে ৪২টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমাদের বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছে। আমাদের পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। ২৪শে অক্টোবর দশমী তিথি শেষে বিসর্জনের মাধ্যমে দেবীকে বিদায় জানানো হবে।