জগন্নাথপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ

ফাইল ছবি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ ওঠেছে এলাকার একটি মহলের উপর। এ নিয়ে সোমবার (২৮ অক্টোবর) ওই শিক্ষককের বিরুদ্ধে করা একটি আবেদন বাতিল চেয়ে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে জগন্নাথপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার বারবার গণস্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছেন কেশবপুর গ্রামবাসী।

এতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর সরকারি আদেশে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেন তার সহকারি শিক্ষকদের উপস্থিতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন নবী পালন করেন। মিলাদুন নবী পালন অনুষ্ঠানে অত্র স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা হেপি রানী দে প্রধান শিক্ষককের পাশে বসে উদযাপন করায় কিছু মানুষ ক্ষিপ্ত হোন। ফলে এলাকার কিছু মানুষ প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে ওই প্রধান শিক্ষককের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ নানাভাবে মানহানিকর অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেন একজন ভালো মানুষ, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাঁর বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে এবং মিথ্যা তথ্য সম্বলিত একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি দিয়ে পোস্ট করায় তাঁর মানহানি করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় স্মারকলিপিতে। এসময় কেশবপুর গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে শিক্ষক মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে দাখিল করা অভিযোগপত্রটি প্রত্যাহার ও যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানান এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি আনা হয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। যারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন তাদের শাস্তি দাবী করছি।’

কেশবপুর গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আছকির আলী বলেন, ‘উনার ( মোশাররফ হোসেন) বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি করা হয়েছে সেটি মিথ্যা ও বানোয়াট। আজ আমরা ৪ শত ৮৭ জন স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর দাখিল করেছি।’

অভিভাবক সেলিনা বেগম বলেন, ‘মোশাররফ স্যার একজন ভালো, সৎ শিক্ষক সাংস্কৃতিক মনা লোক, উনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে সঠিক নয় মিথ্যা।’

কেশবপুর গ্রামের বাসিন্দা লায়েক আলী বলেন, ‘মোশারফ স্যারের বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করেছেন, তারা নেশাগ্রস্ত ও খারাপ প্রকৃতির লোক। উনারা কারো ভালো দেখতে পারেন না।’

জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পক্ষে ৪শত জন স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি হাতে পেয়েছি।’