সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিনে আজ প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে মণ্ডপে মণ্ডপে ভক্তরা দেবী দুর্গাকে সিঁদুর দেওয়ার মাধ্যমে সিঁদুর খেলা করেন। পরে আরতি, শোভাযাত্রাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে।
এর আগে, তিথির কারণে গতকাল শনিবার একই দিনে মহানবমী ও বিজয়া দশমীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল সকাল ৬টা ১২ মিনিটের মধ্যে প্রথমে মহানবমীর কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা হয়। ওই পূজা শেষেই দশমীর লগ্ন হওয়ায় সকাল ৮টা ২৬ মিনিটের মধ্যে করা হয় বিজয়া দশমী বিহিত পূজা ও দেবীর দর্পণ বিসর্জন। তবে গতকাল নবমীর দিন হওয়ায় আজ প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে।
জগন্নাথপুর পৌর এলাকার সনাতন কেন্দ্রীয় জগন্নাথ জিউড় আখড়ায় পূজামণ্ডপের পুরোহিত রতন ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘তিথি অনুযায়ী, মহানবমী ও বিজয়া দশমীর লগ্ন একই দিনে হওয়ায় এই দুটি পূজা হয়েছে। শাস্ত্রমতে, দেবীর দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজা শেষ হয়েছে। মা বিদায় নিয়েছেন।’
হিন্দুধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, মহালয়ার দিন ‘কন্যারূপে’ ধরায় আসেন দশভুজা দেবী দুর্গা, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তাঁকে এক বছরের জন্য বিদায় জানানো হয়েছে। তাঁর এই ‘আগমন ও প্রস্থানের’ মধ্যে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে দুর্গোৎসব। দোলায় বা পালকিতে আগমনের পর এবার দেবী দুর্গার গমন হচ্ছে ঘোটক বা ঘোড়ায়।
মণ্ডপে মণ্ডপে শুরু হয়েছে বিদায়ের সুর। বেলা চারটায় মধ্যে বিসর্জন করা হবে বলে জানিয়েন জগন্নাথপুর উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সতীশ গোস্বামী। তিনি মুঠোফোনে বলেন, ‘সকাল থেকে বিসর্জনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী সন্ধ্যার মধ্যে বিসর্জন শেষ করা হবে।’
বিজয়া শোভাযাত্রা ও প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে জগন্নাথপুর বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। স্বাভাবিক নিরাপত্তার পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশও মোতায়েন রয়েছে।