সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ

জগন্নাথপুরে পূর্ববিরোধের জেরে বসতঘরে অগ্নিসংযোগ

কোনো দোষ না করা সত্ত্বেও দুর্বৃত্তরা বসতঘর পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আবুল মিয়ার খামারবাড়িতে বসবাসকারী কাজী মো. শিপন মিয়া। এ ঘটনায় মামলার জন্য থানায় অভিযোগ করলেও তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। মামলা রুজু করে এজাহারভুক্ত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কাজী মো. শিপন আহমদ বলেন, দুর্বৃত্তদের কারণে আমি আজ বস্ত্র ও বাসস্থান হারিয়ে অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। আমার বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার খাগাউড়া ইউনিয়নের ছোট উজিরপুর গ্রামে। বর্তমানে আমি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিনের কামারগাঁও গ্রামের আবুল মিয়ার মালিকানাধীন ফিশারির (মাছের খামার) পাড়ে ঘর তৈরি করে দুই বছর ধরে বসবাস করছি। কিন্তু একদল দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে আমার বসতঘরসহ মূল্যবান সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ফিশারির মালিক আবুল মিয়াদের সাথে করিমপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে লেবু মিয়া ও তার স্বজনদের বিরোধ চলছে। তাদের বিরোধের বলি হয়েছি আমি। গত শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাতে আমরা সপরিবারে অন্যান্য রাতের মতো ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত অনুমানিক ৩টার দিকে আগুনের তাপে আমার ঘুম ভেঙে গেলে স্ত্রী-সন্তানসহ ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে দেখি ঘরে আগুন জ্বলছে। তখন আগুনের আলোয় জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে লেবু মিয়া, মৃত নবী হোসেনের ছেলে মো. মজনু মিয়া ও মৃত সৈয়দ সামছুল ইসলামের ছেলে মামুন মিয়াকে দেখি। তাদের সাথে থাকা আরও ৫/৬ জনকে চিনতে পারিনি।

শিপন আহমদ বলেন, সন্ত্রাসীরা আগুন দিয়ে আমার ১৬ হাত দৈর্ঘ্য ও ৮ হাত প্রস্থের টিনশেডের বসতঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। ঘরে থাকা কাপড়, অন্যান্য জিনিসপত্র, হাঁস, মোরগসহ অন্তত লক্ষাধিক টাকার সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আল্লাহর দয়ায় আমি স্ত্রী-সন্তানসহ প্রাণে বেঁচে যাই। আমাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। সবকিছু হারিয়ে আমি এখন নিঃস্ব, সর্বশান্ত।

এ ঘটনায় শিপন আহমদ গত ১৬ অক্টোবর জগন্নাথপুর থানায় লেবু, মজনু ও মামুন মিয়ার নাম উল্লেখ ও আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি রেখে থানায় মামলা করতে গেলেও তার অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। তিনি তার বসতঘর পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।