জগন্নাথপুরে দূর্গাপূজার নিরাপত্তায় আনসার সদস্যদের ওসির নির্দেশনা

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় শারদীয় দূর্গোৎসবে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন জগন্নাথপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান। নিরাপত্তার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সব ধরনের ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় জগন্নাথপুর উপজেলা চত্বরে পূজার নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার বাহিনীদের নির্দেশনা দেয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

জানা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলায় এবারের দূর্গাপূজায় ৪২ টি পূজামণ্ডপ রয়েছে। এ মন্ডপগুলোর নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মহালয়া থেকে এক ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে পাঁচ দিনব্যাপী পূজার মূল কার্যক্রম শুরু হবে। মহাষষ্ঠী থেকে বিসর্জন পর্যন্ত পুরো সময়টাই পুলিশ আনসারসহ স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

জগন্নাখপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, আয়োজকদের সঙ্গে আমাদের বেশ কয়েকটি সভা হয়েছে। আমরা আশা করি আগামী পাঁচ দিন অত্যন্ত সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে সক্ষম হবো। প্রতিটি পূজা মন্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায় নেওয়া হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে সিভিল পোশাকেও লোক রাখা হয়েছে।

পূজা উদযাপনে কোনো ধরনের শঙ্কা রয়েছে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পূজা উপলক্ষে জগন্নাথপুর উপজেলায়
কোনো সুনির্দিষ্ট শঙ্কা নেই। তবে সব ধরনের শঙ্কা মাথায় রেখে আমাদের পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে এবং আমরা সব ধরনের শঙ্কা মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের পুলিশের পক্ষ থেকে এটি প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সাইবার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যে সমস্ত পূজা কমিটি রয়েছে সবাইকে এ বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে কোনো ধরণের সন্দেহজনক কিছু পেলে যেন আমাদেরকে দ্রুত অবহিত করা হয়।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিসর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের সমন্বয় সভায় সবাইকে বলেছি নির্ধারিত সময়ে মধ্যে বিসর্জন যেন সম্পন্ন করতে পারি এবং কোনো ধরনের সমস্যা ব্যাতিরেকে সকলেই সচেষ্টা থাকবে।