সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসবে আজ বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হচ্ছে এ উৎসব। তাই দেবী দুর্গার বিদায়ের আগে মন্দিরে মন্দিরে চলছে সিঁদুর খেলা।
দুর্গার বিদায়ের দিনে সিঁদুর খেলায় মেতেছেন নারীরা। এ উপজেলায় মোট ৪১ টি পুজা মান্ডপে পূজা অর্চনা হয়েছিল। এক বছরের জন্য মাকে আজ বিদায় দিচ্ছেন হিন্দু ধর্মাবলীদের বক্তারা। মন্দিরে মন্দিরে সিঁদুর খেলা ও কান্না করছেন অনেকে।।
রোববার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০টায় ঘট বিসর্জনের পর দেবীর চরণে সিঁদুর ছোঁয়ান সনাতন ধর্মাবলম্বী এয়োস্ত্রীরা (সধবা নারী)। এরপর সমবয়সী নারীরা মাতেন সিঁদুর খেলায়।
জানা যায়, দুপুরের পর থেকে শুরু হবে বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা। দেবী দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী ও কার্তিক গণেশকে দেয়া হবে বিসর্জন। দুর্গার বিদায়ে বিষাদের মাঝে আনন্দ কেবল সিঁদুর খেলায়।
আবারও দেবী দুর্গার মর্ত্যলোকের আগমনে অপেক্ষা এক বছরের। চোখের কোণে জল নিয়েও উৎসবমুখর পরিবেশে ত্রিনয়নীকে বিদায় দেবেন ভক্তরা। চাইবেন অশুভ শক্তি বিনাশের আশীর্বাদ।
এদিকে, বিসর্জন উৎসবমুখর ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়েছে জগন্নাথপুর পুলিশ প্রশাসন দশমীর শোভাযাত্রা ও বিসর্জন উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তার রয়েছে।
বিসর্জন শোভাযাত্রার সম্ভাব্য রুট হলো- জগন্নাথপুর কেন্দ্রীয় জগন্নাথ জিউড় মন্দির সার্বজনীন দূগা পুজা উদযাপন পরিষদ থেকে জগন্নাথপুর বাসুদেব বাড়ি আনন্দময়ী, দাস সম্প্রদায়, জগন্নাথপুর পৌর এলাকার সুইস গেইট নামক স্হানে গিয়ে শেষ হবে।