সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ বাজারে কয়লা ও চালের দুটি মিল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৬০লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রানীগঞ্জ বাজারের ফেরী ঘাটের পাশে আওয়াল মিয়ার মালিকাধিন কয়লা ও চালের মিলে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এসময় উপজেলা ফায়ার সার্ভিসে বার বার ফোন দিয়ে খোঁজ না পেয়ে ৯৯৯ ফোন দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজনদের আনা হয়। এ আগে স্থানীয়দের চেষ্টার আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে রানীগঞ্জ বাজারের ফেরী ঘাটের পাশে আওয়াল মিয়ার মালিকাধিন কয়লা ও চালের মিলে আগুন ধরে যায়। আগুনের লেলিহার শিখা দেখে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। বাজার মসজিদসহ আশে পাশের কয়েকটি মসজিদে ঘোষণা হওয়া পর বাজার ব্যবসায়ীসহ আশে পাশের গ্রামের লোকজন মিলে প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এর আগে আগুন লাগার সাথে সাথে স্থানীয় মেম্বার ফায়ার সার্ভিসের মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ৯৯৯ ফোন করে বার বার চেষ্টা করে দায়িত্বে থাকা লোকদের পাওয়ার যায়। আসছি আসছি বলে প্রায় ১ ঘন্টা পর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসে এর আগে আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এ নিয়ে বাজার ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
আগুন নোভানো কাজে থাকা বাজারের ব্যবসায়ী শাহেদ তালুকদার, নুরুল ইসলাম নাহিদ সহ আরো অনেকে জানান, ‘বাজারে আগুন লাগার পর আমরা বার বার ফোন দিয়ে ফায়ার সার্ভিসেস লোকজন খোঁজে পাই নাই। ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই। যোগাযোগ হওয়ার পর আসছি আসছি বলে প্রায় ১ ঘন্টা চলে যায়। কিন্তু জগন্নাথপুর ফায়ার স্টেশন থেকে রানীগঞ্জ বাজারে আসতে মাত্র ১৫ মিনিট সময় লাগে। আমরা আগুন নেভানো পর তারা আসে। আমাদের যে বোতলগুলো দিয়েছে সবটির মধ্যে কিছু না থাকায় এ কাজে ব্যবহার করা যায় নাই।’
মিলের মালিক আওয়াল মিয়া জানান, ‘প্রতি দিনের মত কাজ শেষ করে আমার স্টাপ সহ সকলেই বাড়ীতে চলে যাই। রাত ২টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে এখানে এসে দেখি মিলের মিশিন ঘড়, যন্ত্রপাতি, চাল সহ প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’
এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসের সুনামগঞ্জের উপসহকারী পরিচালক মো. তারেক হাসান ভূইয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘শুনেছি জগন্নাথপুরে একটি বাজারে আগুন লেগেছে। আমার টিম আগুন নেভানোর জন্য গিয়েছে। কয়টা লোকের কাছে ফায়ার সার্ভিসেস নাম্বার আছে। আমাদের নিয়ম হল একটা স্থানে আগুন লাগার সাথে সাথে ৩০ সেকেন্টের মধ্যে স্টেশন আউট করতে হয়। স্টেশন থেকে আপনাদের এলাকার দূরত্ব কতটুকু তা জানতে হবে আর শিতের রাত কুয়াশা থাকতে পারে এটাও বুজতে হবে।’