চারদিন ধরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল মানুষের। তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জগন্নাথপুরের জনজীবন।
হাড় কাপাঁনো শীতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়োজেষ্ঠ্যরা। নিমোনিয়া, সর্দি-কাশিসহ নানা ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। প্রচণ্ড তীব্র শীত আর এক টানা ঘন কুয়াশার কারণে এ উপজেলার জনজীবন অচল হয়ে পড়েছে। দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। শীতের প্রকোপে কাজে যেতে পারছেন না নিম্ন আয়ের মানুষ।
ইসমত আলী নামের এক দিনমুজুর বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ । প্রতিদিন কাজ না করলে আমাদের সংসার চলে না। কয়েকদিন যাবত অতিরিক্ত কুয়াশা ও প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাসের কারণে আমরা কাজে যেতে পারছি না। সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না।
কৃষক আনছার মিয়া বলেন, আমরা প্রতিদিন বদলা দিয়ে সংসার চালাই। ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডার কারণে হাত পা অবশ হয়ে আসছে। কোনো কাজকর্ম করতে পারছি না। তীব্র শীত আর এক টানা ঘন কুয়াশার কারণে আমরা ক্ষেতে যেতে পারছি না। কিভাবে যে সংসার চালাবো জানি না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শারমিন আরা আশা জানান, গত চার দিনের উপজেলার হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এতে নিমোনিয়া, ছোট বাচ্চা ও বড়দের সর্দি, কাশি রোগি বেশি ভর্তি হচ্ছেন। শীতের জন্য গর্ববতী মহিলাদের বেশি সমস্যা হচ্ছে।