সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুকে রহস্যজন আখ্যা দিয়ে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছে মৃতের পরিবারের।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত আলামিন মিয়া (২২) উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের হাড়গ্রাম গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। পেশায় ছিলেন রাজমিস্ত্রি ।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান , ‘গত শনিবার (১০ আগস্ট) রাতে আলামিন মিয়া হাড়গ্রাম গ্রামের বাড়িতে একা ছিলেন। পরদিন রোববার সকালে আলামিনের মামা সিতু মিয়া তাকে ডাকতে গিয়ে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করেন। পরে তাকে গলায় ওড়না জড়ানো অবস্থায় ঘরের তীরের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তারা।
পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. নজমুদ্দিন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে বিছানার ওপর ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। তবে তার বাম হাতের কব্জিতে কাটা দাগ ও ঘরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তের চিহ্ন দেখে উপস্থিত সবার সন্দেহ হয়। পুলিশ কর্মবিরতিতে থাকায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মরচুয়ারিতে রাখা হয়।
এদিকে ঘটনার পরদিন আলামিনের পরিবারের সদস্যদের কাছে ঘটনার সময় তোলা কিছু ছবি এবং হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের একটি ভিডিও আসে যা দেখে পরিবারের সদস্যরা এ মৃত্যুকে হত্যা বলে দাবি করছেন।
এ প্রসঙ্গে আলামিনের মা পারুল বেগম বলেন, ‘ঘটনার সময়ের ছবি ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট দেখেই বোঝা যাচ্ছে ঘটনার সময় আমার ছেলের কাছে আরও কেউ ছিল। ওই সব ছবি তো সে একা তুলতে পারবে না! আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
মৃত ব্যক্তির ভাই নুরুল জানান, ‘আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। মৃত্যুর দিন রাতে ১২ টার দিকে এক মোবাইল থেকে আমার মোবাইলে কিছু ছবি পাঠানো হয়। পরদিন সকাল ৯ টায় আমার মোবাইলে ছবিগুলো দেখি এবং সবাইকে বলি।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বেশ কিছু ছবি ও হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। এর পিছনের রহস্য উদঘাটনে আমরা দ্রুত কাজ করছি।