জগন্নাথপুরের সৈয়দপুরে সংঘর্ষের সময় গুলিতে সৈয়দ জামাল (৪৫) নিহতের ঘটনার ৮ দিন পর জুম্মান আহমদ নামের এক যুবককে সন্দেহজনকভাবে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (০৭ মে) তাকে সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত শনিবার সকালে রাঙামাটি জেলার মাটিরাঙা উপজেলা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। জুম্মান উপজেলার সৈয়দপুর (গোয়ালগাঁও) গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে জুম্মানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উপজেলার সৈয়দপুর (ঈশানকোণা) গ্রামের সৈয়দ আলমগীর মিয়ার সঙ্গে সৈয়দ হোসাইন আহমেদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে গত ২৮ এপ্রিল রাতে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সৈয়দ আলমগীর হোসেনের লোকজনের ছুঁড়া গুলিতে সৈয়দ জামাল (৪৫), সৈয়দ গফর আহমেদ শিপু (২৮), সৈয়দ সেলু মিয়া (৫৫), সৈয়দ হোসাইন মিয়া (৩০), সৈয়দ আনহার মিয়া (৬০), সৈয়দ আমিন মিয়া (৬৫) গুলিবিদ্ধ হন।
পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ সৈয়দ জামালের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ১ মে জামালের ভাই সৈয়দ হোসাইন আহমদ বাদী হয়ে সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল হাসানসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে জগন্নাথপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার দায়ের ৭ দিনেও এজাহারভু্ক্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।