সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের কামার পট্টিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পীরা। সকাল থেকে শুরু হয় তাদের ব্যস্ততা, টুংটাং শব্দে মুখরিত হয় জগন্নাথপুর বাজার।
হাঁপরের বাতাসে কয়লার আগুনে পুড়ছে লোহা, চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ। জ্বলন্ত আগুনের তাপে কপাল থেকে অনবরত পড়ছে ঘাম। তবুও থেমে নেই দা, বঁটি, ছুরি ও চাপাতি তৈরির কাজ।
হাতে কাজ বেশি থাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একনাগাড়ে চলে কামারশালায় হাতুড়ি পেটানোর কাজ।
সরেজমিনে এমন দৃশ্যই চোখে পড়েছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের কামারশালায়। কেননা, পবিত্র ঈদুল আজহা ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে কামার শিল্পীদের।
মাংস কাটা, পশু জবাই করা ও চামড়া ছাড়ানোর জন্য পুরোনো সরঞ্জামাদি শান দেওয়া, নতুন লোহা পুড়িয়ে ধারালো দা, বঁটি, ছুরি ও চাপাতি তৈরির কর্মযজ্ঞ চলছে দ্রুত গতিতে।
উপজেলার সকল কামারশালা এখন মাংস কাটার সরঞ্জামাদি তৈরির টুংটাং শব্দে মুখরিত। এসব সরঞ্জামাদি কিনতে ক্রেতারাও ভিড় করছেন।
বুধবার (১২ জুন) সরেজমিনে দেখা গেছে, লাল আগুনের লোহায় পিটুনিতে সরগরম হয়ে উঠেছে কামারের দোকানগুলো। কামার শিল্পীরা, ছুরি, বঁটি, চাকু ও চাপাতি তৈরিতে কাজ করছেন।
উপজেলার জগন্নাথপুর বাজারে কর্মকার ময়না দে বলেন, ‘এখন কয়লা ও লোহা শান দেওয়ার পাথর সহ সব কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কাঁচামালের দাম বাড়লেও তৈরি পণ্য সেই অনুপাতে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। সারা বছর কাজের ব্যস্ততা কম ছিল। এখন কোরবানির এ সময়টায় অনেক কাজ হাতে এসেছে।’
সমর দে নামের এক ব্যবসায়ী জানান, ‘অনেক বছর থেকে এ পেশার সঙ্গে জড়িত আছি। আগের চেয়ে সব কিছুর দাম বেড়েছে।’
তিনি জানান, ‘এখন বাজারে একটি বড় দা (বটি) ওজন ও আকারভেদে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চাপাতি প্রকারভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, ছোরা ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।’