সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা পদে (২০২০) নির্বাচিত হয়ে গত ২২ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে যোগদান করেন রাখী রানী সরকার। এরপর অবৈধভাবে নিয়োগের অভিযোগ ওঠে এই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
অভিযোগের পর তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তবে তদন্তের রিপোর্ট আসার আগেই গত ২৭ এপ্রিল জগন্নাথপুর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তিনি চলে যান তিনি।
রাখী রানী সরকারের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানিক চন্দ দাস।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাখী রানী সরকার নেত্রকোনা জেলার বারহাট্রা উপজেলার সঞ্জয় চন্দ্র সরকার ও লক্ষী রানী সরকার দম্পতির মেয়ে। রাখী রানী সরকার নিজেকে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের জয়দা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা দেখিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে আবেদন করেন। তিনি জয়দা গ্রামের বাসিন্দা দেখিয়ে ভুয়া নাগরিকত্ব সনদ দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে নিয়োগ লাভ করেন। চাকরির বিধানে রয়েছে প্রার্থীকে নিজ এলাকার বাসিন্দা হতে হবে।
জয়দা গ্রামের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. জমির উদ্দিন বলেন, আমার ওয়ার্ডে কোনো হিন্দু মানুষ নেই। আমি কোনো সার্টিফিকেট দেইনি। কিন্তু চাকরি হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলা ঠিকানায়। প্রতারণার মাধ্যমে নাগরিকত্ব সনদ দিয়ে ওই শিক্ষিকা চাকরি নিয়েছেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্যাক্সের রশিদ সংগ্রহ করেন এবং সেই ট্যাক্স রশিদ ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ জানুয়ারি ‘জগন্নাথপুরে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে শিক্ষক পদে চাকরি’ এমন শিরোনামে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকাগুলোতে দীর্ঘ দিন ধরে সংবাদ প্রকাশ করা হলে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয় এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়।