সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অনিয়ন্ত্রিত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন। বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের যে তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে তার কোনো কিছুই মানা হচ্ছে না বলে সাধারণ জনগন অভিযোগ তুলেছেন।
জানা যায়, এক থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং হওয়ার কথা থাকলেও এলাকাভিত্তিক ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। তাছাড়া যে সময়ের কথা উল্লেখ করা হচ্ছে তার সাথেও লোডশেডিংয়ের কোনো মিল থাকছে না। প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুৎহীন উপজেলাবাসীর পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। ঘেমে জ্বর-কাশিসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। বাদ যাচ্ছেন না বয়স্করাও।
উপজেলাবাসী জনসাধারণ জানান, ‘লোডশেডিং এর আগেও হয়েছে। তবে সে সময় বাস্তবতার সাথে মিল রেখে অনেকেই মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে। তারপরও বাস্তবতা মেনে নিয়ে অনেকেই এক-দুই ঘণ্টার লোডশেডিং মেনে নিয়েছিল। কিন্তু এখন যা হচ্ছে তা একেবারে যাচ্ছেতাই। গত বৃহস্পতিবার ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে এই গরমে যখন গভীর রাতে ও ভোরে বিদ্যুৎ চলে যায় তখন কোনো মানুষই স্বাভাবিক থাকতে পারে? হাতপাখা দিয়ে কোনোরকম পার করতেছি ঘন্টার পর ঘন্টা, পরিবারের সদস্যদের বাতাস দিতে গিয়ে নিজেরাও ঘামে ভিজে যাচ্ছি। কিভাবে কী কররো বুঝতে পারছি না আমরা ‘
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা আবাসিক (বিদ্যুৎ) উপ-প্রকৌশলী পাভের আহমদ জানান, সারা দেশের ন্যায় আমাদের উপজেলায় বিদ্যুৎ এর সমস্যা হচ্ছে। আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের গ্যাস এর চাপ কমে গেছে। সেজন্য লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধান হলে আবার আগের মত বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। কবে সমস্যা সমাধান হবে বলা যাচ্ছেনা। গ্যাস এর চাপ বৃদ্ধি পেলে উৎপাদনও বাড়বে লোডশেডিং ও কমে যাবে।