সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলসার ইউনিয়নের মরিচা গ্রামের সংখ্যা লঘুনেতা অজয় কুমার লস্করের বাড়ীতে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে ১২-১৪ জনের মুখোশ পরিহিত ডাকাতদল বসত ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে মারধর করে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ৪৩ হাজার টাকা ও ২টি মোবাইল সেট নিয়ে যায়।
ডাকাতদের মারধরে অজয় লস্করের পরিবারের ৯ সদস্য আহত হন। তারা হলেন-অজয় লস্করের ভাই অলক কুমার লস্কর (৩৬), বোন অর্পনা রানী লস্কর (৩৪), অঞ্জনা রানী লস্কর (৩২), স্ত্রী অমিত রানী দে (৩৬), জেঠা অক্ষয় কুমার লস্কর (৮৫), জেঠী নমিতা রানী লস্কর (৭০), কাকাতো ভাই অজিত কুমার লস্কর (৪৫) ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী দিপালী রানী সেন (৩৫)।
আহতরা জকিগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ব্যাপারে অজয় কুমার লস্কর বাদী হয়ে গতকাল বুধবার জকিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জকিগঞ্জ উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মামলার বাদী অজয় কুমার লস্কর জানান, মঙ্গলবার রাত ২টায় ১২-১৪ জনের মুখোশ পরিহিত ডাকাত দল বসতঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। বেড়াতে আসা দুই বোনসহ পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেধে মারধর করে ৭ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৪৩ হাজার টাকা নিয়ে যায়। তারপর পাশ্ববর্তী জেঠা ও কাকাতো ভাইয়ের ঘরেও প্রবেশ করে তান্ডব চালায়। ডাকাতদল তার জেঠা ও কাকিমাকেও মারধর করে। অপর কাকাতো ভাই অজিত লস্করের বসত ঘরে হানা দিয়ে তান্ডব চালিয়ে ৩ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়া যায় এবং তাদেরকেও মারধর করে।
তিনি বলেন, এলাকার লোকজন হাল্লা চিৎকার শুনে আমাদের বাড়ীতে দিকে আসতে থাকলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
এব্যাপারে জকিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুকান্ত চৌধুরী বলেন, ঘটনার থেকে পুলিশ ডাকাতদের আটক করার জন্য অভিযান পরিচালনা করে আসছে। খুব শিগগিরই পুলিশ এ ঘটনায় জড়িদের আটক করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াহিয়া আল মামুনসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনার পরপরই সরেজমিন পরিদর্শণ করেন। তিনি বলেন, ডাকাতদের ফেলে যাওয়া একটি মোবাইল সেট ও ম্যানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে পুলিশের আইনী ব্যবস্থা চলমান আছে।
উল্লেখ্য, ১১ নভেম্বর জকিগঞ্জের কসকনকপুরের নিয়াগুল গ্রামে প্রবাসী জামাল আহমদের বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এক মাসের ব্যবধানে জকিগঞ্জে আবারো ডাকাতির ঘটনায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে।