সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানের চক (খলাদাফনিয়া) গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে মো. ফয়েজ উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ওমানে রয়েছেন। প্রবাসে থাকা সত্ত্বেও তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলার চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বিশেষ মহলের প্ররোচনায় পুলিশ ফয়েজ উদ্দিনের ভাই মাদ্রাসাশিক্ষক রইছ উদ্দিনকেও চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন রইছ উদ্দিন।
শারীরিক প্রতিবন্ধী মাদ্রাসাশিক্ষক রইছ উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননার খবর ছড়িয়ে পড়লে জকিগঞ্জের কালিগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল হয়। এসময় যানবাহন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪৫০/৫০০ জনকে আসামি রেখে বিশেষ ক্ষমতা আইনে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
বিয়ানীবাজারের মাথিউরা সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক রইছ উদ্দিন বলেন, ওই ঘটনার প্রায় দুই মাস আগে থেকে বৈধভাবে ওমানে অবস্থান করছেন ফয়েজ উদ্দিন। কিন্তু একটি মহল পুলিশের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজসে তাকে ওই মামলায় জড়িয়েছে। চার্জশিটে আমার ভাইকে ১৫৬ নম্বর আসামি হিসেবে রাখা হয়েছে।
রইছ উদ্দিন বলেন, অন্যের সাহায্য ছাড়া যেখানে আমি চলাফেরা করতে পারি না, সেখানে আমাকেও ওই বিশেষ মহলের প্ররোচনায় চার্জশিটে ১০৩ নম্বর আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমাদের প্রতিবেশী হেলাল আহমদের নেতৃত্বে ওই মহলের প্ররোচনায় আমাদের দুই ভাইকে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এছাড়া আরও অনেক নিরপরাধ ব্যক্তির নামও চার্জশিটভুক্ত করা হয়েছে। আমরা যে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নই, তা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে রইছ উদ্দিন আরও বলেন, নিরীহ লোকদের মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হলে পুলিশ ভয়ভীতি দেখিয়ে তা পণ্ড করে দেয়।
নিরপরাধ লোকদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করতে বিরাট অঙ্কের অর্থ বাণিজ্য হয়েছে উল্লেখ করে রইছ উদ্দিন বলেন, মামলা থেকে আমরা দুই ভাইসহ নিরপরাধ ব্যক্তিদের অব্যাহতি প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে ওই কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।