সিলেটের জকিগঞ্জে উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফয়সালের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন, উপজেলা চেয়ারম্যান লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, জকিগঞ্জ থানার ওসি মোশারফ হোসেন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা রওশান শ্যামলী, আব্দুস ছবুর, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার, মোস্তাক আহমদ, মহসিন মর্তুজা চৌধুরী, আবু জাফর রায়হান, আলতাফ হোসেন, আশরাফুল আম্বিয়া, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম, আনসার ভিডিবি কর্মকর্তা বিধান দাস, মুফতি আবুল হাসান, ব্যবসায়ী সওদাগর সেলিম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আজাদ কাজী, কৃষি কর্মকর্তা শেখ ফরিদ, সূচনা প্রকল্পের জাকির হোসেনসহ সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ।
এছাড়া আইনশৃঙ্খলা, চোরাচালান ও পুষ্টি সমন্বয় কমিটির পৃথক পৃথক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসব সভায় বক্তারা জকিগঞ্জে ঘন ঘন সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে উল্লেখ করে তা রোধে টমটমসহ বিভিন্ন যানবাহন চালনায় গতি নিয়ন্ত্রণ, মহাসড়কে টমটম ও অটোরিকশা চলাচল নিষিদ্ধ, ইউনিয়ন পরিষদে অটোরিকশা তালিকাভুক্ত করা, অল্পবয়সী চালককে গাড়ি চালাতে না দেয়া, রাস্তার পাশে নির্মাণসামগ্রী রাখা বন্ধ করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেণ গ্রহণ করার দাবি জানান।
এসময় ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী অভিযোগ করেন, জকিগঞ্জের বিয়াবাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ৬০-৭০ জন, শিক্ষক রয়েছেন ৫ জন। তবু বিদ্যালয়ে যথাসময়ে শিক্ষকরা উপস্থিত থাকেন না। পাঠদানও যথারীতি হয় না।
সমন্বয় কমিটির অন্যান্য সদস্যরাও বলেন, বেশিরভাগ বিদ্যালয়ের নানা অজুহাতে শিক্ষকরা সময়মতো উপস্থিত থাকেন না। ফলে অভিভাবকরা তাদের ছেলে-মেয়েদের প্রাইভেট বিদ্যালয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উপস্থিতি ও পাঠদান নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে ইউএনও এ কে এম ফয়সাল বলেন, শিক্ষকদের এমন অবহেলা মেনে নেওয়া হবে না।
সভায় শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে যথাসময়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য দায়িত্বরতদের কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।