জকিগঞ্জের সুলতানপুর ইউনিয়নের গণিপুর গ্রামের মেয়ে আব্দুল আজিজ তাপাদার স্কুলের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার তানিয়াকে জুসের সাথে বিষ মিশিয়ে খাওয়ানোর পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রেমে প্রত্যাখাত হয়ে গত ১৯ জুলাই স্কুলে যাওয়ার পথে স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক বিষ মাখানো জুষ খাওয়ানোর অভিযোগ করেন স্কুল ছাত্রীর পরিবার। একই গ্রামের রশিদ আলীর ছেলে কালন আহমদ (২২) এ ঘটনা ঘটিয়েছে মর্মে নিহত তামান্নার পিতা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে গত ২৬ জুলাই জকিগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
পরবর্তীতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার তামান্নার মৃত্যু হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কালন আহমদ স্কুলে যাতায়াতের নিহত তামান্নাকে উত্ত্যক্ত করতো এবং প্রেমের প্রস্তাব দিতো। এ নিয়ে স্কুলছাত্রীর পিতা কালন আহমদের অভিভাবকের নিকট বিচার প্রার্থী হলে তার দৌরাত্ম আরো বেড়ে যায়। একপর্যায়ে ১৯ জুলাই স্কুল যাওয়ার পথে ওই স্কুল ছাত্রীকে একটি জুস দিয়ে পান করতে বলে। স্কুলছাত্রী ভয়ে জুস পান করে বিদ্যালয়ে চলে যায়। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে বাড়ীতে চলে গিয়ে অভিভাবদের বিষয়টি জানায়। প্রথমে তাকে জকিগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে সিলেটের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন, সর্বশেষে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত তামান্নার পিতা জামাল উদ্দিন বলেন, আমার মেয়েকে কালন আহমদ পরিকল্পনা করে হত্যা করেছে। আমার মেয়ের এ করুণ মৃত্যু জন্য দায়ী কালন আহমদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
অপরদিকে অভিযুক্ত কালন পলাতক রয়েছে। তার মা আফিয়া বেগম বলেন, ‘ছেলে এমন কাজ করেছে বলে আমার বিশ্বাস হয় না। ছেলে অপরাধ করে থাকলে তার শাস্তি হোক।’
এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানান, ‘নিহত তামান্নার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুরআসল রহস্য পাওয়া যাবে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সহিত তদন্ত করছি।’
এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন জানান, জুসের সাথে বিষ দিয়ে প্রাণে মারার অভিযোগে মামলার করা হয়েছে। অভিযুক্ত কালন আহমদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। বিষয়টির রহস্য উদঘাটনের পুলিশ তৎপর রয়েছে।