সিলেট মহানগরীতে আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ আহমদকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা-১৮, তারিখ :২২/ ১১/ ২০২৩।
বুধবার (২২ নভেম্বর) নিহতের মা আঁখি বেগম বাদী হয়ে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি হিরন মাহমুদ নিপুসহ ১০ জনের নামোল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, খুনের ঘটনায় আগেই আটক দুজনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। হত্যাকান্ডের পরপরই কাউন্সিলর হিরন মাহমুদ নিপু পলাতক রয়েছেন বলে জানান তিনি।
সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরের টিবি গেইট এলাকা দিয়ে যাওয়ার পথে কয়েক যুবক আরিফকে (১৯) ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আরিফের মা আঁখি বেগম বলেন, ঘটনার পরপরই আমি সেখানে গিয়ে দেখেছি, সাদা পাঞ্জাবি পরে হিরণ মাহমুদ নিপু মোটরসাইকেলে উঠে চলে যাচ্ছিলেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ছেলেকে সিএনজিতে করে হাসপাতালে যাওয়ার পথে ছেলে তাকে বলেছেন, হিরণ মাহমুদ, রনি, মামুন, হেলালসহ ১৫-২০ জন মিলে তার ওপর হামলা চালিয়েছেন।
আরিফ আহমেদ টিলাগড় এলাকার স্টেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলামের অনুসারী বলে জানা যায়।
ছেলেকে রাজনীতি করতে নিষেধ করেছিলেন উল্লেখ করে আঁখি বেগম বলেন, ছেলে এক বছর আগে কলেজে ওঠার পর থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করত। তিনি বলেছিলেন ছাত্রলীগ না করতে। জবাবে ছেলে বলেছে, কলেজে থাকতে হলে ছাত্রলীগ করতে হয়। তা না হলে তাকে মেরে শেষ করে দেবে। এরপর তিনি জানিয়েছিলেন, এইচএসসি পাস করার পর তাকে আর কলেজে রাখবেন না।
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, আরিফ হত্যার ঘটনায় আটক রনি ও মামুন ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদের পক্ষে সক্রিয় ছিলেন। তারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। এলাকায় তারা বখাটে হিসেবে পরিচিত।
তিনি বলেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবেই আরিফ আহমেদকে খুন করা হয়েছে। তার শরীরে ১৬-১৭টি কোপ ও ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিলো।