সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় টিকটক ভিডিও তৈরি করার সময় দুই মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন নিহত ও অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় ছাতক উপজেলার সুরমা বাশখলা গ্রাম ও মুক্তিরগাঁও গ্রামের বাসিন্দাদের মাঝে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে নিহতের নাম সাইফুল আলম (৪৫)। তিনি ছাতকের মুক্তিরগাঁও গ্রামের মৃত চমক আলীর ছেলে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গুরুতর আহত ৩ ব্যক্তি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যার দিকে সুরমা সেতুতে দুই মেয়ে বেড়াতে এলে বাশখলা গ্রামের কয়েকজন ছেলে টিকটক ভিডিও তৈরির নামে ওই মেয়েদের উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এসময় মুক্তিরগাঁও গ্রামের মামুনসহ কয়েকজন ছেলে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করলে মামুনকে ছুরিঘাত করে টিকটক ভিডিও ধারণকারী দল। ছুরিকাহতের খবর মামুনের গ্রামে ছড়িয়ে পারলে দেশীয় অস্ত্রসহ দুই গ্রামের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের সিলেট হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাইফুলের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় চলে এ সংঘর্ষ ।
এদিকে সংঘর্ষের পর এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনার পরপরই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু সাঈদ বলেন, বেড়াতে আসা মেয়েদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করার প্রতিবাদ করায় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রসহ দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগান ও টিয়ারশেল ছুড়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।