ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
পলাতক শামীমের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকের মাধবপুর গ্রামে। আর সোহেলের বাড়ি লালমনিরহাটের আদিতমারীর ভেটোশ্বর গ্রামে।
ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান মোহাম্মদপুর থানার করা মামলায় এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের পেশকার পারভেজ ভুইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গত ৫ জানুয়ারি মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন আসামিরা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।’
এর আগে ২০ নভেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় বিচার শুরুর দিনই পালিয়ে যায় দুই জঙ্গি। এদিন ঢাকার সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান ২০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
এদিন আদালতে হাজির করা হয় কারাগারে আটক ১২ আসামিকে। এছাড়া জামিনে থাকা দুই আসামি আদালতে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তবে পলাতক ছয় আসামি উপস্থিত ছিলেন না। শুনানি শেষে তাদের আদালত থেকে বের করা হয়। এরপর সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নেওয়ার পথে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের গেটের সামনে পৌঁছালে পুলিশের চোখে স্প্রে করে দুই জঙ্গিকে দুটি মোটরসাইকেলে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তারা একটি মোটরসাইকেল ফেলে রেখে যায়।
এদিকে ২০ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা। এসময় আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে জঙ্গিরা। পরে ঘটনাস্থল আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় কোর্ট পরিদর্শক জুলহাস বাদী হয়ে ২০ জনের নামে একটি মামলা করেন। মামলায় আরও সাত-আটজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলাটি বর্তমানে তদন্তধীন।