প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে আজ অপরাহ্নে থাইল্যান্ড পৌঁছেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট আজ ব্যাংককের স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৮মিনিটে ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এরআগে বিমানটি আজ বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সফরে এখানে এসেছেন।
সফরকালে শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সোমবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির লক্ষে আলোচনার আগ্রহপত্রসহ বেশ কিছু সহযোগিতার নথিতে সই করবে।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সরকারী পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও সম্পর্ক সম্প্রসারণের লক্ষে পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আরও দু’টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন ২৬ এপ্রিল শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাবেন এবং তাঁকে আনুষ্ঠানিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে।
একই দিন শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে গভর্নমেন্ট হাউসে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এই সময় দু’নেতা নথি স্বাক্ষরের অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করবেন।
সফরকালে, প্রধানমন্ত্রী রাজপ্রাসাদে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রানী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমল-লক্ষণের রাজকীয় দর্শকদের সাথে থাকবেন।