সিলেটের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টকে ‘বিজয় চত্বর’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট) দুপুরে সিলেটের চৌহাট্টায় সরেজমিনে দেখা যায়, সিলেট মেট্টোপলিটন ইউনিভার্সিটির কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীরা চৌহাট্টার গোল চত্বরে লাল-সবুজ রং দিয়ে সাদা হরফে ‘বিজয় চত্বর’ লিখছেন। পাশাপাশি ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ এবং আন্দোলনের স্মরণে গ্রাফিতি আঁকছেন তারা।
এসময় যাতায়াতকারী পথচারীদের অনেকেই তাদেরকে বিজয় চিহ্ন প্রদর্শণ করে অভ্যর্থনা জানান।
সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার হোসেন রনি সিলেট ভয়েসকে বলেন, ‘আমরা ২ টা দল উপশহর ও চৌহাট্টায় কাজ করছি। চৌহাট্টার এই গোল চত্বরটিকে আমরা ‘বিজয় চত্বর’ হিসেবে ঘোষণা করছি। আমরা দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের কার্যক্রম বিশেষ করে গ্রাফিতি অংকনে উদ্বুদ্ধ হয়ে এই কাজ করছি। তাছাড়া এই পয়েন্ট থেকেই আমরা সৈরাচার পতনের ১ দফা দাবিতে কণ্ঠ উঁচু করে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। আমরা আগামী প্রজন্মের কাছে তাই এই স্থানটিকে নতুন নামে পরিচিত করিয়ে দিতে চাই।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সিলেটের জেলা সমন্বয়ক ও সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমদ শাফিন সিলেট ভয়েসকে বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, চৌহাট্টা হল সিলেটের যেকোনো আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র। সিলেটের সকল আন্দোলন, সমাবেশ হয় সব এখান থেকেই হয়। ২০১৮ সালের ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’ থেকে শুরু করে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনসহ ২০২৪ সালের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র শেষের দিকে চৌহাট্টা হয়ে উঠে আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল। এজন্য আমরা চাচ্ছি এই চত্বরটিকে সবাই ‘বিজয় চত্বর’ নামেই চিনুক।
অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মধ্যে ছাত্র সংগঠনগুলোর মাঝে যেখানে দলের পক্ষে শো-ডাউন বা রাজনৈতিক দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে সেখানে শিক্ষার্থীরা সিলেট নগরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নির্বিঘ্ন করাসহ রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের থেকে আলাদাভাবে চিন্তা করছেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে শাফিন বলেন, ‘স্বাধীন দেশে যার যা খুশি করছেন। আমাদের তাতে সমস্যা নেই। তবে কেউ অন্যায় কিছু করলে আমরা ছাড় দেব না। আমরা সিলেটবাসীর উন্নতির জন্য যা যা করা লাগে করে যাব।’