ইবাদতের লক্ষ্য সেপ্টেম্বরের ভারত সফর

হুট করেই ফুরিয়ে যায় না এপ্রিলের বিকেল । রোদের উত্তাপ কমে আসার পরও দিনের আলো থেকে যায় অনেকটা সময়। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম ততক্ষণে অনেকটাই ফাঁকা হয়ে যায়। কাল যখন সেখানে এ রকমই এক আবহ, ইবাদত হোসেন একাডেমি ভবন থেকে বেরিয়ে এলেন মূল মাঠে।খবর প্রথম আলো।

ইবাদত তাড়াহুড়ো করতে চাইছেন না। তাঁর লক্ষ্য এ বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত সফর দিয়ে খেলায় ফেরা, ‘আমি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে পারিনি। এশিয়া কাপ এবং একের পর এক সিরিজ মিস করার পর এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও খেলতে পারব না। সবই যখন মিস হয়েছে, আর সামনে যেহেতু বড় কোনো টুর্নামেন্ট নেই, সময় নিয়ে ভালোভাবে ফেরা ভালো। দেখি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ভারত সিরিজ দিয়ে ফেরা যায় কি না। খারাপ লাগবে, তবে একটু সময় নিয়ে ফিরলে আবারও চোটে পড়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।’

গত বছর জুলাই মাসে ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে থাকা অবস্থায় বাঁ হাঁটুতে চোট পাওয়ার পর কাল তৃতীয়বারের মতো দৌড়ালেন ইবাদত। রোজার মাসে প্রথমবার দৌড়ে এক কিলোমিটার পার করতে লেগেছিল ৮ মিনিট ১ সেকেন্ড। কাল সেটা ৬ মিনিট ৫০ সেকেন্ডে কমিয়ে আনায় ইবাদতের মুখে তৃপ্তির হাসি।

ইবাদতকে এখন ছোট ছোট লক্ষ্য পার করাই বিশ্বজয়ের আনন্দ দেয়। একটা লক্ষ্য পার করে হাতের স্মার্ট ওয়াচে আরও একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করে রাখছেন ইবাদত। গুটি গুটি পায়ে সেটাও টপকে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই ছোট ছোট লড়াই জেতা ইবাদতের শুধু শারীরিক সুস্থতার জন্য নয়, মানসিকভাবে সুস্থ থাকারও টনিক এটা আত্মবিশ্বাস এনে দেয়। একটু একটু করে উন্নতি করতে পারছি খুব ভালো লাগে। এতে মানসিকভাবেও ভালো থাকি।

দীর্ঘদিন খেলার বাইরে থাকার মানসিক যন্ত্রণা তো আছেই। নতুন যোগ হয়েছে বাবার অসুস্থতা। গলায় ক্যানসার ধরা পড়ায় বাবাকে নিয়েও ইবাদত আছেন দুশ্চিন্তায়, আমি নিজেই একটা ট্রমার মধ্যে আছি। এত বড় একটা সার্জারি, সাত-আট মাস ধরে খেলতে পারছি না। এর মধ্যে বাবা অসুস্থ। খারাপ সময় যাচ্ছে। তবে চেষ্টা করছি মানসিকভাবে নিজেকে চাঙা রাখতে।