হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট পৌর শহরে দুই বাসায় চেতনানাশক স্প্রে করে ডাকাতি হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) মধ্যরাতে জানালার গ্রিল কেটে ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ২লাখ ৮০ হাজার টাকা ৩টি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ৮ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
জানা যায়, মঙ্গলবার মধ্যরাতে পৌর শহরের ২ নং ওয়ার্ডের রৌশন মঞ্জিল ও এইচএম শান্তিনিকেতন নামে দুই বাসায় ডাকাতি হয়। ডাকাতরা জানালার গ্রীল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে ঘরের ভেতর চেতনানাশক স্প্রে করলে ঘরের সবাই অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর ডাকাতরা সবকটি কক্ষের মালামাল তছনছ করে ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল নিয়ে যায়। ঘটনায় রৌশন মঞ্জিলের মালিক আব্দুল হাই (৭০), তার ঘরের ভাড়াটিয়া আলোনিয়া এলাকার বাসিন্দা ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাছিমা (৪১), তার পুত্র শিপন মিয়া (২৫), তুহিন মিয়া (২৩), তার ভাগনী, নাপি (৭), এইচএসবি শান্তিনিকেতনের মালিক গোগাউড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত মিটু মিয়ার পুত্র হাবিবুর রহমান মুসলিম (৬৫), তার স্ত্রী তার স্ত্রী মাহিরা খাতুন( ৫২), পুত্র মাজহারুল ইসলাম (২৫) অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সকালের দিকে মুসলিম উদ্দিন সহ দুই বাসার লোকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় লোকজন। এর মধ্যে মুমূর্ষু অবস্থায় শিপন মিয়া ও তুহিন মিয়া দুইভাইকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এবিষয়ে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদুল হক বলেন, ঘটনা শোনার পরপরই পুলিশের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং পুলিশের সহায়তায় দুইজনকে সিলেট পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অপরাধীদের আটক করতে তৎপর রয়েছে পুলিশ।
চুনারুঘাট পৌর শহর সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দিন দিন চুরি-ডাকাতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। একের পর এক চুরির ফলে ব্যবসায়ী সহ জনসাধারণ চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বেশ কয়েকটি আলোচিত চুরি-ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িতরা ধরা না পড়ার কারণে চুরি-ডাকাতির ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। চুরির পর থানা পুলিশের পরিদর্শন, সংশ্লিষ্টদের সভা-সেমিনার ছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার কোন অগ্রগতি না পাওয়ায় দিনদিন শংকা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব চুরি ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে পৌরবাসীদের।