হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের দাঁরাগাও-এ অবৈধভাবে তিন ফসলা জমি মাটি উত্তোলন চলছে মহাসমারোহে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে স্থানীয় জনপদ।
ইতিমধ্যে এই অবৈধ মাটি উত্তোলন বন্ধ করতে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দেওছড়া নদীর দুই পাড়সহ আশেপাশের তিন ফসলা জমির মাটি কেটে বালু উত্তোলনের প্রতিযোগিতা চলছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের শত শত ট্রাক্টরে চলছে মাটি পরিবহন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলি জমিসহ রাস্তাঘাট। রাত দিন মাটিবাহী ট্রাক্টর চলাচলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে নদীর দু’ই পাড়ের বাসিন্দারা। ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের বাড়িঘরও পড়েছে হুমকির মুখে। ধুলাবালিতে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ।
ভারত থেকে দারাগাও, রশিদপুর, টিলাগাও, শ্রীবাড়ী হয়ে বয়ে চলা দেওছড়া নদীকে এক সময় বলা হত আশির্বাদ। বয়ে আসা পলি আর সহজে সেচের জল পাওয়ায় দুই পাড়ে ফসল উৎপাদনে বিরাট ভূমিকা এই দেওছড়া নদীর।
তবে স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেওছড়া নদীর দুই পাড়ের অন্তত ১৫/২০ টি স্থান থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা। মাটি পরিবহনের জন্য নদীর পাড়ে ট্রাক্ট, এস্কেভেটর মেশিন প্রবেশ করাতে স্থানীয় সড়ক প্রতিরক্ষা বাঁধ কেটে রাস্তা তৈরী করা হয়েছে । এতে প্রতিরক্ষা সড়ক ও বাঁধ হুমখীতে পড়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আশপাশের গ্রামের বাড়িঘর ধ্বংস ও উচ্ছেদ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে এলাকার বাসিন্দা মামুন খান ইমু বলেন, দেওছড়া নদীর দু-পড়ে এক সময় গম, আখ, আলু, ডালসহ বিভিন্ন ফসল ফলাতো এলাকার কৃষক। কিন্তু এখন আর এমন দৃশ্য নেই। সবই চলে গেছে প্রভাবশালীদের দখলে। অথচ প্রশাসন নির্বিকার। মাটি কাটা প্রতিরোধে তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলম মাহবুব বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি লিখিত অভিযোগ জেলা প্রশাসক মাধ্যমে পেয়েছি। এখানে বালু মাটি কাটার কোন অনুমোদন নেই। ইজারা বর্হিভূত কোন স্থান থেকে বালু উত্তোলন করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাটি কাটারতো কোন প্রশ্নই আসেনা। মটি কাটা বন্ধ করতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে।