সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, অর্থনীতিবিদ, ইতিহাসবিদ, গবেষক ও শিক্ষক ড. আকবর আলি খানকে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার পর তাকে সেখানে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ড. আকবর আলি খান। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে আকবর আলি খানের ছোট ভাই কবীর উদ্দিন খান জানান, হার্টঅ্যাটাকে আকবর আলি খানের মৃত্যু হয়েছে। আকবর আলি খান বাসায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শুক্রবার সকালে এভারকেয়ার হাসপাতালের হিমঘর থেকে আকবর আলি খানের মরদেহ রাজধানীর গুলশানে তার বাসায় নেওয়া হয়। সেখানে স্বজন ও বিশিষ্টজনেরা তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। গুলশানে আকবর আলি খানের বাসায় যান সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, ব্যাংকার ও অর্থনীতি বিশ্লেষক মামুন রশীদ, কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান প্রমুখ।
পরে বাদ জুমা তার জানাজা রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদে সম্পন্ন হয়। জানাজা শেষে মসজিদ প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।জানাজায় অংশ নেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমান প্রমুখ।
১৯৪৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে জন্মগ্রহণ করেন আকবর আলি খান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ইতিহাসে পড়াশোনা শেষ করে কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতিতে পিএইচডি করেন তিনি। পিএইচডি গবেষণাও করেন অর্থনীতিতে।
আমলা হিসেবে পেশাগত জীবনে প্রধান ধারার পাশাপাশি শিক্ষকতাও করেন আকবর আলি খান। অবসর নেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে। এর পর দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হয়েছিলেন, পরে দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতার মুখে পদত্যাগ করেন। অবসরের পর তার আবির্ভাব ঘটে পূর্ণকালীন লেখক হিসেবে। অর্থনীতি, ইতিহাস, সমাজবিদ্যা, সাহিত্য-বিচিত্র বিষয়ে তার গবেষণামূলক বই পাঠকের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়।