এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে আজ মঙ্গলবার। প্রতিবছর এই দিনটায় বিভিন্ন কলেজে সর্বোচ্চ ফলাফল ধারীরা উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন। তবে এ বছর চিরচেনা সেই চিত্র দেখা যায়নি সিলেটের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিলেট সরকারি মহিলা কলেজে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজে গিয়ে দেখা ফলাফল প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেকটা নেই বললেই চলে৷ তবে অল্প কয়েকজন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তারা বেশিরভাগই বিজ্ঞান বিভাগের।
যে ৪-৫ জন শিক্ষার্থী এসেছিলেন, তারা ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট থাকলেও সকল বিষয়ে পরীক্ষা দিতে না পারায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত একাধিক শিক্ষার্থী জানান, সব বিষয়ে পরীক্ষা না হওয়ায় সবার মনে তেমন উৎসাহ-উদ্দীপনা নেই। অনেকেই আবার ঘরে বসে ফলাফল পেয়ে যাওয়ায় কলেজে আসেনি। তাছাড়া পূজার বন্ধ থাকায় কলেজে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও নেই।
সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নাজমীন ইসলাম চৌধুরী বলেন, পূজার ছুটির কারণে আজকে আমাদের বিদ্যালয়ে মেয়েদের উপস্থিতি একেবারে কম। তবে ইতোমধ্যে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের ফলাফল আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছেন।
প্রফেসর নাজমীন বলেন, যদি সব বিষয়ে পরীক্ষা হত, তাহলে ওই পরীক্ষার মূল্যায়ন দিয়েই শিক্ষার্থীরা অনেক দূর এগিয়ে যেত। এখন এইচএসসি’র ফলাফলের কোন উপকারিতা তারা পাবে না। তাদের নির্ভর করতে হবে ভর্তি পরীক্ষার ওপর৷ এমনকি পুরো পরীক্ষা হলে আমাদের বিজ্ঞান বিভাগ এবং অন্যান্য সব বিভাগেও জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বাড়ত।
এ বছর সিলেট সরকারি মহিলা কলেজে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৮৩৬ জন, পাস করেছে ৮২১ জন। ১৫ জন শিক্ষার্থী ফেল করেছে। পাশের হার ৯৮.২১ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৮৪ জন।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৪৪৫ জনের মধ্যে ৪৪১ জন পাশ করেছে যেখানে পাশের হার ৯৯.১০ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪২৭ জন।
মানবিক বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩৯১ জন। পাশ করেছে ৩৮০ জন। মানবিক বিভাগে পাশের হার ৯৭.১৮ শতাংশ যেখানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫৭ জন। সে হিসেবে মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ তুলনামূলক কম।