আগামী শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সিলেটসহ দেশের চারটি জেলার চা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিকেল চারটায় লাক্কাতুরা চা বাগানের গলফ ক্লাব মাঠে বিকেল চারটায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। এসময় চা শ্রমিকদের শোষণ-বঞ্চনার কথা শুনবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময় সামনে রেখে দুপুরে জেলা প্রশাসনের কনফারেন্স কক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান। এতে পুলিশ ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, বাগান ম্যানেজার, চা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময় সফল করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করে জেলা প্রশাসন।
এর আগে গত শনিবার (২৭ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চা-বাগান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
মজুরি বাড়ানোর পরদিন রোববার (২০ আগস্ট) সকাল থেকে সব চা-বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে দুইদিন ২ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন চা-শ্রমিকরা। কিন্তু তাদের এ দাবিতে মালিক পক্ষ সায় না দেওয়াতে ১৩ আগস্ট থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যান। এরপর দেশের ১৬৮টি বাগানে (ফাঁড়ি চা-বাগানসহ ২৩২টি) ছড়িয়ে পড়েছিল এ আন্দোলন। চা-শ্রমিকরা তাদের দৈনিক কাজ বন্ধ রেখে রাজপথে নেমে সড়ক অবরোধ, রেল অবরোধ, মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
আন্দোলন থেকে ফেরাতে শ্রম অধিদপ্তরের মহাসচিব থেকে শুরু করে মাঠ প্রশাসনও ব্যর্থ হয়। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের লাক্কাতুড়া চা-বাগানের গলফ মাঠে চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করলেই তারা কাজে ফিরে যাবেন। অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে ধার্য করে দেওয়া ১৭০ টাকা মজুরিতে কাজে ফেরেন চা শ্রমিকরা।