মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জুলাই অভ্যুত্থানের আকাংঙ্খা, চা শ্রমিকদের জীবন ও ছাত্র যুবকদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৪ টায় সিলেটের খাদিম চা বাগানের স্কুল প্রাঙ্গনে সিলেটের বিভিন্ন চা বাগানের ছাত্র যুবক প্রতিনিধিদের উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। চা শ্রমিক যুবনেতা দেবাশীষ দাসের সভাপতিত্বে ও চা শ্রমিক সন্তান মিতু মালালির পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী। বক্তব্য রাখেন, চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমরেড হৃদেশ মুদি, খাদিম চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি সবুজ তাতী, ছাত্র নেতা বিশ্বজিৎ শীল, শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী চা শ্রমিক সন্তান রিপন রুদ্র পাল, এশিয়া ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রামের শিক্ষার্থী চা শ্রমিক সন্তান স্মৃতি মুদি, রিপন ভৌমিক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভায় কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে একটা দাবি ছিলো “কেউ খাবে, কেউ খাবে না তা হবেনা” কিংবা “সব হাতে কাজ চাই, সব মুখে ভাত চাই” ইত্যাদি। সে সময় এ দেশের ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক জনতা তাদের মৌলিক মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু পাকিস্তানি প্রায়-উপনিবেশিক শাসনের অবসান হলেও এদেশের মানুষের প্রকৃত মুক্তি আসেনি। ফলে এদেশের মানুষ গনতন্ত্রের জন্য, প্রকৃত মুক্তির জন্য বারবার লড়াই করেছে। ৯০ সালে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই হয়েছে, স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্র মুক্তি পায় নি। এবারও যে বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতা আন্দোলন করলো সেই বৈষম্যের অবসানে কোন উদ্যোগ অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গ্রহণ করে নি। ৭১ এর মুক্তি যুদ্ধে চা শ্রমিকরা যেমন গৌরবময় অংশ গ্রহণ করেছেন, এবারের জুলাই অভ্যুত্থানের তাদের আশা ছিল ফ্যাসিবাদের পতন হলে তাদের অবস্থার হয়তো পরিবর্তন হবে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে শ্রেণীর পরিবর্তন ছাড়া চা শ্রমিকদের ভাগ্যের বদল হবে না। ফলে চা শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা র সংগ্রামে চা বাগানের সচেতন ছাত্র যুবকদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। বিজ্ঞপ্তি