বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বঙ্গবন্ধু আজকের এই দিনে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্পর্শিত চা শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘চা শিল্পের সাথে দেড় লক্ষ শ্রমিকের ভাগ্য জড়িয়ে আছে। অনেক বছর ধরে চা শ্রমিকদের বেতন নিয়ে কথা চলছিল, সেটাও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে বসে মালিকপক্ষকে একতরফা চাপিয়ে দেয়া বেতন পুনর্নির্ধারণ করে দিয়েছেন। চা বোর্ডের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা শিল্প এবং এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে হৃদয়ে ধারণ করেন।’
রোববার (০৪ জুন) সকালে বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ‘জাতীয় চা দিবস-২০২৩’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, চা শিল্পটা বাড়ুক। আমি নিজে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে খুঁজি, আমার চা কাপটা কোথায়। এমনি করে কিন্তু চা আমাদের মাঝে ভিষণ প্রিয় হয়ে উঠেছে। চা আমাদের জীবনের পার্ট হয়ে গেছে। প্রদান পানীয় হিসেবে চা ছাড়া আমরা অন্য কিছু চিন্তাও করতে পারি না।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) নির্বাচনী আসনের সংসদ সদস্য’ অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ।
স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসি।
এছাড়াও বক্তব্য দেন বাংলাদেশীয় চা সংসদের সভাপতি কামরান টি রহমান, টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি শাহ মঈনুদ্দিন হাসান, এফবিসিসিআই এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আব্দুস শহীদ এমপি বলেন, ‘চা শিল্পের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শুধু চা শিল্পই নয় প্রতিটি সেক্টরে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান রয়েছে। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু।’
তিনি আরো বলেন, চা শিল্পের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে চা শ্রমিকরা। আর এদেশে চা শ্রমিকদের নাগরিকত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই যখনই দেশে নির্বাচন আসে তখনই চা শ্রমিকরা বঙ্গবন্ধুর নৌকা মার্কায় ভোট দিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বঙ্গবন্ধুর কৃতিত্ব চা শ্রমিকরা কখনো ভুলেনি ভুলবেও না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন চা শিল্পের ব্যাপক প্রসার। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এখন চা শিল্পের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৩ প্রদান করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী চা মেলার আয়োজন করা হয়। মেলাতে ১৩ টি স্টল বসানো হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শন করা হয়। দর্শনার্থীদের জন্য দিনব্যপী চা মেলা উন্মুক্ত থাকে। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।