সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার চারটি জলমহালের কার্যক্রম স্থগিত করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব বিজন কুমার সিংহ বুধবার (১৫ জুন) উপজেলার চারটি জলমহালের কার্যক্রম স্থগিত করে তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন।
তদন্ত কমিটিতে রাখা হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলার মৎস্য কর্মকর্তা, আরডিসি সুনামগঞ্জ ও সার্ভেয়ার (এলএ শাখা) আজমল হোসেনকে।
উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি সূত্র জানায়, গত ১৩ জুন জগন্নাথপুর উপজেলাড় নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলার জলমহালগুলো ইজারার সিদ্ধান্ত নেন। অভিযোগ ওঠে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম ও ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মুহিবুর রহমান মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নীতিমালা লঙ্ঘন করে জলমহাল বাণিজ্য করেছেন।
কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক গত মঙ্গলবার (১৪ জুন) সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবরে ইউএনও সাজেদুল ইসলাম ও ভূমি কার্যালয়ের সার্ভেয়ার মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে নীতিমালা লঙ্ঘন করে জলমহাল বাণিজ্য করেছেন বলে লিখিত অভিযোগ করেন। এছাড়া আরও কয়েকটি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি একই অভিযোগ করে। যার প্রেক্ষিতে উপজেলার চারটি জলমহালের ইজারা কার্যক্রম স্থগিত করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।
স্থগিত হওয়া সমিতিগুলো হলো নলজুর নদী ১ম খন্ড, বড় ডহর, ব্রাহ্মণ দাইড় ও হরতাজপুর জলমহাল।
কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক নীরেন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, জলমহাল ইজারা কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার আদেশের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তড়িঘড়ি করে খাজনা নেওয়ার প্রক্রিয়া দেখা যায়। আমি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে ন্যায়বিচার পাবো বলে আশা করছি।
জগন্নাথপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যে কেউ অভিযোগ করতে পারে। আমার বলার কিছু নেই।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব বিজন কুমার সিংহ বলেন, জগন্নাথপুরের চারটি জলমহালের ইজারা কার্যক্রম স্থগিত করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগের সুরাহা করা হবে।