ব্যর্থতার ধারাবাহিকতাই ধরে রাখলো প্যারিস সেন্ট জার্মেই। ক্লাবে বিশ্বসেরা তিন ফুটবলার। যাদের সামনে প্রতিপক্ষ দলগুলোর বুক কাঁপার কথা, সেই তিন বিশ্বসেরা লিওনেল মেসি, নেইমার এবং কিলিয়ান এমবাপেকে নিয়েও একের পর এক পরাজয় বরণ করে যাচ্ছে পিএসজি।
যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এতটা আরাধ্য পিএসজি কর্তৃপক্ষের। যে ট্রফিটি জয়ের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা নির্দিধায় খরচ করে যাচ্ছে তারা, সেই ট্রফিটির ধারে-কাছেও যেতে পারছে না। মেসি-নেইমার-এমবাপেদের নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি জয়ের যে স্বপ্ন, সেটা আবারও হোঁচট খেতে যাচ্ছে পিএসজির।
কারণ, এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম রাউন্ডে নিজেদের ঘরের মাঠেই জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ০-১ গোলে হেরে গেছে পিএসজি। ফিরতি পর্বে বায়ার্নের মাঠ থেকে অন্তত ২ গোলের ব্যবধানে জিতে আসতে না পারলে আবারও বিদায় ঘটে যাবে। অর্থ্যাৎ, টানা দ্বিতীয়বারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায়ের শঙ্কায় পিএসজি।
বায়ার্নের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন কিংসলে কোম্যান। প্যারিসেই জন্ম তার। পিএসজি’র যুব দল থেকেই বেড়ে উঠেছিলেন এবং বেশ কয়েক বছর সিনিয়র দলেও খেলেছিলেন। তিনিই দ্বিতীয়ার্ধে (৫৩তম মিনিটে) গোলটি করেন। এর আগে ২০২০-র চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে যখন দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল, তখনও কোম্যানই গোল করেছিলেন। এবারও গোল করে জার্মান ক্লাবকে কোয়ার্টার ফাইনালের দিকে এক ধাপ এগিয়ে দিলেন তিনি।
চলতি বছরের (২০২৩) ঘরের মাঠে এই নিয়ে পাঁচটি ম্যাচে হারল পিএসজি। মেসি এবং নেইমার শুরু থেকেই একাদশে ছিলেন। প্রথমার্ধে ভালই খেলেছে ফ্রান্সের ক্লাবটি। বায়ার্নকে শাসন করেছে তারা; কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে জার্মানির ক্লাব চাপ বাড়াতে থাকে এবং গোলও পেয়ে যায়। ৫৭তম মিনিটে এমবাপেকে নামিয়েও আর কোনো গোল বের করতে পারেননি পিএসজি কোচ গ্যালতিয়ের।
আগামী ৮ মার্চ মিউনিখে ফিরতি পর্বের খেলা। বায়ার্নের কোচ হুলিয়ান নাগেলসম্যান বলেছেন, ‘প্রথম ২৫ মিনিট আমরা ভালই খেলেছি। মাঠে সেরা দলটাই জিতেছে। গুরুত্বপূর্ণ জয়, কিন্তু এখন দ্বিতীয় পর্ব এখনও বাকি।’
প্রথমে মনে করা হয়েছিল এই ম্যাচে চোটের কারণে এমবাপে খেলতে পারবেন না। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তিনি মাঠে নামেন। তাকে পেয়ে কিছুটা চনমনে হয়ে ওঠে পিএসজি। নিজের মতোই খেলেছেন এমবাপে। একবারও গোলও করেন, তবে অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়।
৭৪ মিনিটে তার দুর্দান্ত শট বাঁচান প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক ইয়ান সমার। তবে শেষটা ভাল হয়নি। সংযুক্ত সময়ে মেসিকে ট্যাকল করতে গিয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন বেঞ্জামিন পাভার্ড।
ঘরের মাঠে হেরেও এমবাপে মনে করেন, শেষ আটে ওঠা সম্ভব। ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘ম্যাচের শেষ দিকটা মনে করুন। পিছিয়ে থেকেও আমরা লড়াই করেছি এবং ওদের উপর চাপ দিয়েছি। আশা করি দ্বিতীয় পর্বে দলের খেলোয়াড়রা নিজেদের নিংড়ে দেবে। এই ম্যাচে খেলার কথা ছিল না। কিন্তু সতীর্থদের সাহায্য করতেই মাঠে নামি।’