নির্ধারিত লিমিট শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে মাস শেষ হওয়ার ৪দিন আগেই বন্ধ হয়ে গেছে গোলাপগঞ্জের ৩টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাম্পগুলো বন্ধ থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পাম্পে গিয়েও গ্যাস না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে হয় সিএনজি অটোরিকশা চালকদের। যে কারণে আজ থেকে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক সিএনজি অটোরিকশা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২দিন থেকে উপজেলার নূরজাহান পাম্প, সোমবার সন্ধ্যা থেকে মেসার্স এম আর সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে রহমান ফিলিং স্টেশন বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিন এসকল সিএনজি পাম্পে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি মাসে তাদের একটা লিমিট থাকে। মাস শেষ হওয়ার ৪দিন আগেই লিমিট শেষ হয়ে গেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর রিডিং নিলে ১ অক্টোবর থেকে আবারো গ্যাস পাম্প চালু হবে জানান তারা।
জানা যায়, সিলেট জেলার প্রতিটি পাম্পেই নির্দিষ্ট পরিমাণে মাসিক গ্যাস বরাদ্দ দেয় জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানি। কিন্তু মাস শেষের আগেই জেলার অনেক পাম্প বরাদ্দকৃত গ্যাস বিক্রি করে দেয়। ফলে মাস শেষের আগেই গ্যাস সংকটে পড়ে এসব পাম্প।
এদিকে গ্যাস শেষ হয়ে যাওয়ায় গাড়িতে গ্যাস ভরতে না পেরে বন্ধ রয়েছে অনেক সিএনজি অটোরিকশা। যে গাড়ি গুলো সড়কে চলছে তারা যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যে সকল গাড়ি সড়কে চলছে গ্যাস শেষ হওয়ার কারণে আগামীকাল থেকে সড়কে গাড়ির সংখ্যা কমে যাবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
সড়কে গাড়ি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছেন যাত্রী সাধারণ। নিয়মিত তারা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। আগামী ৩-৪ দিন যাদের জরুরি কাজ রয়েছে তারাও গাড়ির সংকটের কবলে পড়বেন বলে ধারণা করা যাচ্ছে।