হবিগঞ্জে গ্যাস সংকটের কারণে প্রায় ১২ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক বিপাকে পড়েছেন। এতে যাত্রীদেরও গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
এ সংকট দেখা দিয়েছে জেলার সাতটি ফিলিং স্টেশনে। এক মাসের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গ্যাস নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বিক্রি হয়ে যাওয়ায় এমনটা হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে হবিগঞ্জ শহরের বহুলা এলাকার ‘এম হাই অ্যান্ড কোং’। এর ফলে হবিগঞ্জ সদর, লাখাই, শায়েস্তাগঞ্জ, বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ ও নবীগঞ্জ উপজেলায় চলাচলকারী অটোরিকশাগুলো গ্যাস পাবে না।
একই অবস্থা মিরপুর ফিলিং স্টেশন, মাধবপুরের আল আমিন ফিলিং স্টেশন ও সেমকোসহ আরও সাতটি ফিলিং স্টেশনেরও। তারা আসুষ্ঠানিক বন্ধের ঘোষণা না দিলেও গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে না।
‘এম হাই অ্যান্ড কোং’ ফিলিং স্টেশন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সহশ্রাধিক অটোরিকশার চালক লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা আসায় তাদের চোখেমুখে হতাশা।
অটোরিকশার চালক রনি আহমেদ বলেন, এক সপ্তাহ গ্যাস পাবো না। রুটি-রুজি বন্ধ থাকবে। কিভাবে পরিবার চালাবো বুঝতে পারছি না।
অটোরিকশাচালক রাজু আহমেদ জানান, প্রায় এক মাস ধরেই গ্যাসের সংকট চলছে। এজন্য নিয়মিত লাইনে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। আয়-রোজগার কমে যাওয়ায় তিনি বিপাকে পড়েছেন।
বানিয়াচং-হবিগঞ্জ রোডে চলাচলকারী অটোরিকশাগুলোতে যাত্রীদের কাছে থেকে দ্বিগুণ ভাড়া নিতে দেখা গেছে। এ কারণে যাত্রী ও চালকদের মধ্যে প্রায়ই বাকবিতণ্ডা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, জেলায় ফিলিং স্টেশন রয়েছে আটটি। এর মধ্যে সাতটি ফিলিং স্টেশনই চলতি মাসের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গ্যাস শুক্রবারের মধ্যে বিক্রি করে ফেলেছে। এ জন্য ফেব্রুয়ারি মাস শুরু হওয়ার আগে তারা আর গ্যাস বিক্রি করতে পারবেন না।
সিএনজি অটোরিকশা সমিতির এক নেতা জানিয়েছেন, জেলায় রেজিস্ট্রেশন করা ৯ হাজার ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন আরও ৩ হাজার সিএনজি অটোরিকশা আছে। জেলার আটটি ফিলিং স্টেশনের মধ্যে সাতটিতেই সরবরাহ বন্ধ থাকায় চালকরা এখন বেকার। কেউ কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন। এ কারণে তারা অনেকটা বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন।