সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নে নিজ বসতবাড়িতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১২ বছরের এক শিশু। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত শওকত আলী (৬০) কে গ্রেপ্তার করেছে।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) সন্ধ্যা অনুমান ০৭টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির বাবা প্রায় ০৮ বছর পূর্বে তার মাকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করেন। এরপর থেকে শিশুটির মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে ২ ছেলে ও ১ মেয়ে সন্তান নিয়ে কষ্টের মধ্যে জীবনযাপন করছিলেন। পাশের বাড়ির বাসিন্দা হিসেবে শওকত আলী প্রায়ই তাদের বাড়ীতে আসা-যাওয়া করত।
ঘটনার দিন সকালে ১২ বছরের শিশুকন্যাকে বাড়িতে রেখে তার মা কাজে চলে যান। দিন শেষে সন্ধ্যার পর বাড়িতে ফিরে দেখেন মেয়ে কান্নাকাটি করছে। মেয়েকে কান্নাকাটির কারণ জানতে চাইলে সে জানায়, সন্ধ্যা অনুমান ৭টার দিকে পাশের বাড়ির শওকত আলী বসতঘরে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। শিশুটি চিৎকার করতে চাইলে শওকত মুখে চাপ দিয়ে ধরে এবং বিষয়টি জানাজানি করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
পরে ভিকটিমের মা ৬ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) দক্ষিণ বাঘা গ্রামের মৃত মনফর আলীর ছেলে শওকত আলীকে আসামি করে গোলাপগঞ্জ থানায় নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার দিনই পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামি শওকত আলীকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্তের দায়িত্বের থাকা পুলিশ কর্মকর্তা রাজীব কুমার রায় গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ঘটনার পর ভিকটিমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তির পর বর্তমানে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তার আসামি শওকত আলীকে জেলহাজতের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।