সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার ওসি মো.রফিকুল ইসলামসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে ডাকা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেছেন শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা ৭২ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়ে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা জানান, গোলাপগঞ্জ থানার ওসিকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে। তা না হলে ৭২ ঘন্টা পর পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। সেই সাথে গোলাপগঞ্জ সার্কেল সুদীপ চন্দ্র দাশ লাশ হস্তান্তরের বিষয়ে আশ্বাস প্রদান করেন। যে কারণে দীর্ঘ ৪ ঘন্টা পর শ্রমিকরা তাদের সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেন। অবরোধ প্রত্যাহারের পর সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে আটকা পড়া শতশত গাড়ি নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
এর আগে সকাল ১১টায় পৌর শহরের সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা।
শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা জানান, প্রায় এক সপ্তাহ আগে ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হেতিমগঞ্জে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় এক পথচারি আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার ওসমানী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। দুর্ঘটনায় আহত এবং নিহত হওয়ার পর শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে নিহতের পরিবারের একটি সমাধান হয়। কোন ধরণের আইনী প্রক্রিয়ায় না যাওয়ার কথা জানান নিহতের পরিবার। এরপর লাশ আনার জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও নিহতের পরিবার গেলে তারা গোলাপগঞ্জ থানার ওসির সাথে কথা বলে লাশ নেওয়ার কথা বলেন। এরপর শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও নিহতের পরিবার থানায় গেলে ওসি আপোষনামায় স্বাক্ষর করেননি। যে কারণে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে সকল শ্রমিকরা মিলে সড়ক অবরোধ করে।
এদিকে সড়ক অবরোধের ফলে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের দু’পাশে শতশত গাড়ির লাইন সৃষ্টি হয়। চরম দুর্ভোগে পড়েন জনসাধারণ। অনেকেই গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
এবিষয়ে জানতে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, যে দাবি নিয়ে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছে বিষয়টি সেরকম নয়। আমি লাশ দেওয়ার জন্য কোতোয়ালি থানায় মেইল প্রেরণ করেছি। আর লাশের পরিবারের কেউ যদি আমার কাছে না আসে তাহলে স্বাক্ষর কি ভাবে দেব। বিষয়টি সমাধান হয়েছে।