গোলাপগঞ্জের বাদেপাশা ইউনিয়নে মফজ্জিল আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল মিয়া পাঠানের পদত্যাগ দাবি করায় চাকুরী বাঁচাতে বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অভিযুক্ত করে গোলাপগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই প্রধান শিক্ষক।
থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয়ে প্রাক্তণ ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন পরবর্তী প্রতিবাদ সভায় মাষ্টার লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও প্রাক্তণ শিক্ষার্থী সাকের আহমদের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাদেপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপাধ্যক্ষ জাহিদ হোসেন। বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবী আবুল কালাম, প্রাক্তন শিক্ষার্থী জাকির হোসেন, বর্তমান শিক্ষার্থী নাঈম আহমদ।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন স্কুল কমিটির সদস্য (ভূমিদাতা) সামাদুজ্জামান রুবেল, দেলুয়ার হোসেন, জাকির উদ্দিন, জবলু আহমদ, জসিম উদ্দিন জুয়েল, আরাফাত আহমদ, প্রাক্তন শিক্ষার্থী রেদোয়ান আহমদ, সায়হান, সাফি, রবিউল শফি প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, ‘নানা অভিযোগে অভিযুক্ত মফজ্জিল আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবুল মিয়া পাঠানের পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলন করে আসছে শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলনকে থামাতে শিক্ষার্থীদের নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ হয়রানি করে আসছিলেন এই প্রধান শিক্ষক। এতে কিছু করেও শিক্ষার্থীদের থামাতে না পেরে তিনি মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ ও বর্তমান সকল শিক্ষার্থীদের নামে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন যা অত্যন্ত লজ্জাজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
বক্তারা বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা এর আগে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুনের বরাবরেও লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। এই অভিযোগের পরিপেক্ষিতে ইউএনও বিদ্যালয়ে এসে ১০ দিনের সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে তিনি কোন সমাধান দিতে পারেননি। আর এই সময়ের মধ্যেই প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের হয়রানি করতে এ অভিযোগ দায়ের করেন।’
বক্তারা আরও বলেন, ‘এই অভিযোগে বাদেপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ এমন কিছু মানুষকে এর স্বাক্ষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যা সম্পর্কে আমরা অবগত নয়।’
প্রতিবাদ সভায় প্রাক্তণ ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা বাবুল মিয়া পাঠানের পদত্যাগ সহ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়েরের জন্য উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে তার শাস্তি দাবি করেন।