সিলেটের গোলাপগঞ্জে শক্তিশালী একটি রকেট লঞ্চার উদ্ধারের মামলায় আসামিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।
সোমবার (৬ মার্চ) বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামির জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
শুনানিতে আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সিমন্তী আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমদ ভুঁইয়া।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমদ ভুঁইয়া জানান, আসামি আলী হোসেনকে জামিন না দিয়ে আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ২৫ অক্টোবর রাতে উপজেলার পৌর এলাকার রণকেলী গ্রামে অভিযান চালিয়ে রকেট লঞ্চারটি উদ্ধার করা হয়। এসময় রকেট লঞ্চার রাখার দায়ে আলী হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। আটক আলী উপজেলার রণকেলী গ্রামের ছালেহ আহমদ ওরফে টেনই মিয়ার ছেলে।
পরে ২৬ অক্টোবর দুপুরে রকেট লঞ্চারটি উপজেলার রণকেলী এলাকায় একটি মাঠে ধ্বংস করা হয়।
এ ব্যাপারে র্যাব-৯ এর অধিনায়ক বসু দত্ত চাকমা তখন বলেছিলেন, গোপন সংবাদ পেয়ে র্যাবের একটি টিম ২৫ অক্টোবর রাতে রকেট লাঞ্চারটি উদ্ধার করে। পরদিন বুধবার রণকেলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ সংলগ্ন একটি টিলায় র্যাব সেটি নিষ্ক্রিয় করে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা গোলাপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিজিৎ চৌধুরী, সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোলাপগঞ্জ সার্কেল) পরিত্রাণ তালুকদার, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন চন্দ্র সরকার।
ওইদিন গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেছিলেন, রকেট লাঞ্চার উদ্ধারের ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে আলী হোসেনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে। তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নিম্ন আদালতে জামিন না পেয়ে আলী হোসেন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।