সিলেটের গোলাপগঞ্জে মায়ের সামনে থেকে জোরপূর্বক এক কিশোরীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার ৬দিন পরও ওই কিশোরীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
গত (১৯ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার লক্ষনাবন্দ ইউনিয়নের নিজ ঢাকাদক্ষিণ (বিদাইটিকর) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদি হয়ে ৪ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের নামে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা (মামলা নং-২৪, তাং, ২৩/০২/২০২৩ইং) দায়ের করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারী রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে ওই কিশোরী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরের বাইরে যায়। তখন পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা প্রতিবেশী তারেক আহমদ (১৯) সহ আরও ৪/৫জন অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কিশোরীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে দেখে তার মা চিৎকার দিয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে অনেক চেষ্টা করেও তাদের আটকাতে না পেরে তিনি নিজে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে কিশোরীর মাকে ঘরে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে কোন সুরাহা করতে না পেরে পরদিন স্থানীয়দের পরামর্শে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (ডায়েরি নং-১০০৮, তাং ২০/০২/২৩) করেন।
এদিকে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর কাছে বিচারপ্রার্থী হলে তারা আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেন। পরে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে থানায় ৪ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪/৫জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
অপহরণের ৬দিন পেরিয়ে গেলেও ভিকটিমকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
ভিকটিমের পরিবার জানায়, অভিযুক্ত তারেক কিশোরীকে স্কুলে যাওয়া আসার সময় দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাবসহ নানা প্রকার উৎপাত করে আসছিল। একপর্যায়ে কিশোরীর পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। পরে তাকে নিরাপত্তার স্বার্থে নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গত কয়েকদিন আগে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি ফিরলে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা অভিযুক্ত যুবক সন্দেহজনকভাবে বাড়ির আশেপাশে ঘুরাফেরা করতে থাকে এবং ওইদিন রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ভিকটিম ঘর থেকে বের হলে অভিযুক্তরা কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বর্তমানে ভিকটিমের মাসহ পরিবার মেয়েকে উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের সহায়তা কামনা করছেন।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কিশোরীকে উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।