সিলেটের গোলাপগঞ্জে এক বৃদ্ধা মাকে ঘরের বাইরে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলের বিরুদ্ধে। মায়ের পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে উপজেলাজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের রায়গড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ছেলের নাম জিলাল (৪৫)। তিনি রায়গড় গ্রামের মৃত হারিছ আলীর ছেলে।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলামের সাথে এ বিষয়ে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে কথা হলে তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তারা গিয়ে দেখবে বিষয়টি কী। তবে এ বিষয়ে থানায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।
ঘটনাস্থলে থাকা গোলাপগঞ্জ থানার এসআই পার্থ সারথী দাশের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি খুবই জঘন্য। আমরা অভিযুক্ত ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সে বলছে তার মা অসুস্থ। ঘটনার দিন দুপুরে তারা সপরিবারে বেড়াতে যাবেন বলে রোদ পোহানোর জন্য বৃদ্ধাকে বাইরে গাছের সাথে শিকল দিয়ে তালাবদ্ধ করে রেখে যান। তাদের ফিরতে রাত হয়ে যায়।
তিনি বলেন, বর্তমানে অভিযুক্তকে নিয়ে ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যবৃন্দ ও স্থানীয়রা বসেছেন। তারা আমাদের কাছ থেকে একটু সময় চেয়েছেন। আমরা সেখানেই আছি।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে বৃদ্ধাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। আবু বক্কর সিদ্দিক নামে এক যুবক সেই ভিডিও পোস্ট করেন। তিনি ভিডিও’র ক্যাপশনে উল্লেখ করেন, শীতের মধ্যে ছেলে তার বৃদ্ধা মাকে ঘরের বাইরে পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। ঘটনা জানতে পেরে আমাদের পরিবার ও এলাকার স্থানীয় কিছু লোক ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করতে তাদের বাড়িতে যান। তখন ওই ছেলে আমাদের সবাইকে ডাকাত বলে। সেই সাথে পুলিশকে খবর দেবে বলে জানায়। পরবর্তীতে এলাকার মানুষের চাপে সে তার মায়ের পায়ে বাঁধা শিকলের তালা খুলে দিতে বাধ্য হয়।
এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রউফের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।