উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় মৎস্যখাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যে কারণে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অনেক মাছ চাষি। এছাড়া অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
শনিবার (২৩ জুলাই) উপজেলা উপ-সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, বন্যায় মোট ২ হাজার ৫টি পুকুর, দিঘি, হ্যাচারি ও মাছের খামার পানিতে তলিয়েছে। এতে ১৬০ মেট্রিক টন মাছ ও ১০ লক্ষ মাছের পোনা বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন ১ হাজার ৫৩৩ জন মাছ চাষি। বিভিন্ন অবকাঠামোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে উপজেলায় ২ কোটি ৯ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে। এর পরিমাণ আরও বাড়তে বা কমতে পারে।
ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি উত্তরপাড়া গ্রামের মাছ চাষি মোস্তাক আহমদ বলেন, এবার দুই মেয়াদের বন্যায় আমার প্রায় ৫০ হাজার মাছের পোনা পানিতে তলিয়ে যায়। প্রথমবারের বন্যায় ২০ হাজার মাছের পোনা তলিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়বারের বন্যায় আরও ৩০ হাজার মাছের পোনা পানিতে তলিয়ে যায়। এতে আমার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা উপ-সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি উপজেলায় এবারের বন্যায় আনুমানিক ২ কোটি ৯ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর পরিমাণ আরও বাড়তে বা কমতে পারে। এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর কাদির শাফি এলিম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষিদের নিজস্ব উদ্যোগে মাছের পোনা দেওয়ার চেষ্টা করব। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।