সিলেটের গোলাপগঞ্জে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের উপর হামলার ঘটনায় কেরামত আলী (৬০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) রাতে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি উত্তরপাড়া গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফুলবাড়ি উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত কুটন আলীর ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে মামলার বাদি সুহেল আহমদের দীর্ঘদিন ধরে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তারকৃত আসামি মামলার অপর আসামিদের সাথে নিয়ে বাদি পক্ষকে হুমকি ধমকি ও প্রাণে হত্যার ভয় দেখিয়ে ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করে আসছিলেন।
আরও জানা যায়, গত ৯ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে গ্রেপ্তারকৃত আসামি মামলার অপর আসামিদের সাথে নিয়ে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে বাদি সুহেল আহমদের বাড়িতে গিয়ে গালিগালাজ করছিলেন। গালিগালাজ শুনে বাদি সুহেল আহমদ ঘর থেকে বের হয়ে আসলে মামলার আসামিরা তাকে মারপিট করতে থাকে। হামলার একপর্যায়ে গ্রেপ্তারকৃত আসামি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী থানা পুলিশকে খবর দিয়ে বাদি সুহেল আহমদকে ধরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে মিথ্যা মামলায় বাদির চাচা আজির উদ্দিনকেও আসামি করে আদালতে প্রেরণ করলে ঐ দিনই তাঁদেরকে জামিনে মুক্তি করা হয়।
পরবর্তীতে আবার গত ১৪ জুন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাদি সুহেল আহমদের অনুপস্থিতে মামলার আসামিরা পুনরায় তাঁর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। হামলায় বাদি সুহেল আহমদের মা ও স্ত্রী আহত হন। তাঁদের চিৎকারে মামলার স্বাক্ষীরা এগিয়ে এসে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে একদিন সুহেলের স্ত্রী ও তার মা চিকিৎসাধীন ছিলেন। একদিন পর সুহেলের স্ত্রীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলেও সুহেলের মায়ের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
গোলাপগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র সরকার আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।