সিলেটের গোলাপগঞ্জে নাশকতার দুই মামলায় ১৪০ বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। এর মধ্যে মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপ পরিদর্শক এখলাছুর রহমান ও উপ পরিদর্শক পার্থ সারথী দাশ।
জানা যায়, গত ২৯ অক্টোবর হরতালকে কেন্দ্র করে নাশকতার অভিযোগে প্রথম মামলাটি হয় (মামলা নং : ১৯)। এ মামলায় ৬ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরও ৫০-৬০ জনকে। ইতিমধ্যেই ওই মামলায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর মামলাটি হয় গত ১৭ নভেম্বর, অবরোধকে ঘিরে নাশকতার এই মামলায় ১৪ জনের নামোল্লেখসহ ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়। এই মামলায় ১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফুলবাড়ি ইউনিয়নের রফিপুর দক্ষিণ মাইজভাগ গ্রামের মতছির আলীর ছেলে আব্দুস শহিদ (৩২), একই ইউনিয়নের মোল্লাগ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে শাহ আলম (২৪), রফিপুর নয়া মসজিদ গ্রামের ফখরুল ইসলামের ছেলে ছানি আহমদ (২৪), হেতিমগঞ্জ গ্রামের মৃত আব্দুল হান্নানের ছেলে নাঈম আহমদ (২৩), মোল্লাগ্রামের মৃত নুর বক্সের ছেলে মুজিবুর রহমান দুলাল (৪২), পৌর এলাকার ঘোষগাঁও উত্তর গ্রামের মৃত আব্দুল নুরের ছেলে তাজুল ইসলাম তাজ (৪৫), শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের পনাইরচক গ্রামের মৃত ফরিদ আহমদের ছেলে সুহেল রেজা (৩২) ও অপর মামলায় ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম রায়গড় বটরপাড়া গ্রামের মৃত চেরাগ আলীর ছেলে এমরান আহমদ (২৩)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হরতাল এবং অবরোধকে কেন্দ্র করে উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের হেতিমগঞ্জ বাজারে ও ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের বাইপাস এলাকায় নাশকতা সৃষ্টি ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলায় দায়ের করা হয়।
এদিকে ওই দুই মামলায় অজ্ঞাতনামা ১২০ আসামি থাকায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। একারণে চলমান আন্দোলনে হরতাল এবং অবরোধে মাঠে তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়না।