গোলাপগঞ্জে নদীতে ফেলে যুবককে হত্যা : একজন গ্রেপ্তার

গোলাপগঞ্জে আলী হোসেন (৩৫) নামে যুবককে মারপিট করে কুশিয়ারা নদীতে ফেলে ঢিল ছুঁড়ে হত্যার অভিযোগে ১জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বুধবারী বাজার ইউনিয়নের বনগাঁও থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামি বুধবারী বাজার ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের মৃত আনফর আলীর ছেলে।

নিহতের ঘটনায় ৭ জনের নামোল্লেখ ও ১৪/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা (মামলা নং: ১২/২/২০২৪ইং) দায়ের করেন আলী হোসেনের বোন রুবি বেগম (৪০)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি বানীগাজি পূর্ব মহল্লা জামে মসজিদে ওয়াজ মাহফিলের শিন্নী বিতরণকে কেন্দ্র করে মামলার ১নং আসামি অহিদ হোসেনের সাথে আলী হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। পরদিন ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার দিকে চন্দরপুর কুশিয়ারা নদীর পাড়ে মামলার বাদি রুবি বেগমকে পেয়ে মামলার ৩নং আসামি জায়েদুল ইসলাম শিপু তার ভাইকে সাবধান করার কথা বলেন।

ঘটনার দিন গত ১০ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টার দিকে মামলার ১নং আসামি মামলার অন্য আসামিদের নিয়ে চন্দরপুর বাজারে আলী হোসেনকে পেয়ে তার উপর হামলা করে। এরপর আলী হোসেন প্রাণ ভয়ে চন্দরপুর ব্রীজের দিকে দৌঁড় দিলে আসামিরা সহ আরও ১৪/১৫ জন তাকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল মারতে থাকে। এসময় তাদের ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয়ে আলী হোসেন কুশিয়ারা নদীতে পড়ে যায়। নদীতে পড়ার পর সাঁতার কেটে সে তীরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন আসামিরা নদীতে তাকে লক্ষ্য করে ব্রিজের ওপর থেকে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। তাদের ইটপাটকেলের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে নদীতে তলিয়ে যায়।

এদিকে খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গেলে অনেক খুঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। পরদিন ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে ডুবুরি দল কুশিয়ারা নদীতে জাল ফেলে আলী হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে।

গোলাপগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র সরকার আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এছাড়াও হামলার সাথে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানান তিনি।