সিলেটের গোলাপগঞ্জে স্কুল থেকে খেলতে গিয়ে কুড়া নদীতে ডুবে রাফি আহমদ (১১) নামে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১১ জুন) বিকেল ৬টার দিকে উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের কুড়া নদীতে জাল ফেলে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রাফি ভাদেশ্বর ইউনিয়নের পশ্চিম ভাগ গ্রামের এনাম উদ্দিনের ছেলে। সে ভাদেশ্বর পশ্চিম ভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার সকালে সে বিদ্যালয়ে যায়। বিকেল ৩টার দিকে সে বাড়িতে না ফেরায় তার বাবা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ফোন করেন। প্রধান শিক্ষক জানান, খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করার জন্য রাফিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ মুড়ারকিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে গেছে।
বিকেল ৪টার পর্যন্ত রাফি বাড়িতে না আসায় তার খোঁজে মুড়ারকিয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে যান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে গিয়েও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে মসজিদে মসজিদে মাইকিং করানো হয়।
বিকেল ৬টার দিকে স্থানীয় এক রিকশাচালক জাহেদ আহমদ তাদেরকে জানান দুটি মেয়েকে তারা নদী থেকে উদ্ধার করেছেন। অনেক শিক্ষার্থী শরীরে কাদা থাকায় নদীতে নেমে গোসল করছিল। তবে রাফিকে দেখেননি তিনি।
পরে পরিবারের সদস্যরা স্থানীয়দের নিয়ে নদীতে জাল ফেলে রাফির মরদেহ উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় রাফির চাচা পশ্চিম ভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, তাদের অবহেলার কারণে রাফিকে মরতে হয়েছে।