সিলেটের গোলাপগঞ্জে অভিভাবক প্রতিনিধিকে অশালীন ভাষায় হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
এঘটনায় গত সোমবার (১৫ জানুয়ারি) ওই অভিভাবক সদস্য উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এছাড়াও অভিযোগের অনুলিপি দেয়া হয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফুলবাড়ী ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হলে এলাকায় দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিরসনের জন্য তদন্তক্রমে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি আবেদন করেন অভিভাবক প্রতিনিধি সাংবাদিক আব্দুল আজিজ।
এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বীরেন্দ্র চন্দ্র দাসের স্বাক্ষরীত স্মারক নং স/ঊ/পি/অ/০০১ এর আলোকে রবিবার সকাল ১১ ঘটিকায় উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা বিরেন্দ্র চন্দ্র দাসের কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য অবগতি পত্র প্রেরণ করা হয়।
যথাসময়ে অভিভাবক প্রতিনিধি ও সাংবাদিক আব্দুল আজিজ উপস্থিত হন এবং তদন্তের কার্যক্রম চলা অবস্থায় তদন্তকারী কর্মকর্তা বিরেন্দ্র চন্দ্র দাসের মোবাইল ফোনে অপর সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম তার ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে ফোনে বলেন, আপনার সামনে আজিজ নামে জনৈক ব্যক্তি বসা আছে। এর বিষয়ে সাবধান থাকবেন ও একটা হারামজাদা। ওর কোন কথা গ্রহণ করবেন না।
এসময় তদন্তকারী কর্মকর্তার মোবাইল ফোনটি লাউড স্পিকার মোডে ছিল বিধায় দপ্তরে থাকা আরো কয়েকজন এই আপত্তিকর কু-রুচিপূর্ণ বক্তব্য শুনতে পান। এমন বক্তব্য ও এহেন আচরণে সাংবাদিক আব্দুল আজিজ তদন্তকারী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে চলে আসেন। এরপর তিনি সোমবার সুষ্ঠু বিচারসহ প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করতে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা নির্বাহী অফিস বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক আব্দুল আজিজ জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তার মুঠোফোনে যখন সহকারী শিক্ষা অফিসার জহিরুল ইসলাম ফোন করে আমাকে গালি দেন। তখন আমার সাথে অত্র বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সহসভাপতি নাদিরা বেগম সহ আরো কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল আজিজ আরও বলেন, বিগত দিনে ফুলবাড়ি ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক গোপনে বিদেশে চলে যাওয়ার বিষয়ে সহযোগিতা করেছিলেন ওই কর্মকর্তা। এ নিয়ে সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন। এরপর থেকেই তিনি সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত।
বিষয়টির সত্যতা জানতে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমাদের মাঝে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। বিষয়টি আমি সমাধানের চেষ্টা করছি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা বিরেন্দ্র চন্দ্র দাস বলেন, জহিরুল ইসলাম কখন কি বলেন তিনি নিজেও জানেন না। আপাতত বিষয়টি ছাড় দিয়ে দেন।