সিলেট জেলার পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর সার্বিক দিকনির্দেশনায় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শাহরিয়ার বিন্ সালেহ্ এর তত্ত্বাবধানে গোলাপগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরিত্রাণ তালুকদারের নেতৃত্বে চাঞ্চল্যকর আওয়ারুন বেগম হত্যা মামলার ঘটনায় জড়িত মূল আসামিকে মামলা রুজুর ২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে গোলাপগঞ্জ থানার পুলিশ।
তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) ভোরে চট্টগ্রামের খুলশী থানা পুলিশের সহায়তায় গোলাপগঞ্জ থানার পুলিশ মামলার মূল আসামি সুমনকে গ্রেপ্তার করে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিকেল ৬টায় গোলাপগঞ্জের বাঘা ইউনিয়নের এখলাছপুর গ্রামে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে ইটের আঘাতে নিহত হন আওয়ারুন বেগম। নিহতের ছেলে বলাই মিয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। তিনি অটোরিকশা চালিয়ে যাওয়ার সময় পানি ছিটকে সুমনের গায়ে পড়ে। এরই জের ধরে বলাই মিয়াকে চড় মারেন সুমন। পরের দিন বাড়ির পার্শ্ববর্তী কালভার্টে সুমনকে পেয়ে চড় মারার ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে চান বলাই মিয়া। এ সময় আওয়ারুন বেগম ঘটনাস্থলে এসে ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সুমন ক্ষুব্ধ হয়ে ইট নিয়ে বলাই মিয়াকে আঘাত করতে গেলে ইট এসে পড়ে আওয়ারুন বেগমের বুকে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ভিকটিমের ছেলের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার (২৯ জুন) গোলাপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।
এ প্রসঙ্গে সিলেট জেলার মিডিয়া মুখপাত্র, জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান বলেন, গোলাপগঞ্জে আওয়ারুন বেগম হত্যার পরপরই ঘটনার সাথে জড়িত মূল আসামি সুমন গা ঢাকা দেয়। একপর্যায়ে সুমন সিলেট ছেড়ে চট্টগ্রামে গিয়ে আশ্রয় নিতে চায়। সেখান থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে গোলাপগঞ্জ থানার পুলিশ।